আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ্। বাংলাদেশ সম্পর্কে জানুন। এখানে রয়েছে ইসলামী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাণ্ডার যা প্রতিটি মুসলমানের জন্য জানা অত্যাবশ্যক।***
যে কোন রোগের চিকিৎসা সেবা সহ অনলাইনে ফ্রি ডাক্তারের সাথে পরামর্শের সুযোগ ***
ডাঃ আহমদ ইমতিয়াজ ডি.এইচ.এম.এস, বি.এইচ.এম.সি (ঢাকা) মোবাইল - 01914440430 ই-মেইলঃ drahmadimtiaj@gmail.com ***

আশুরা মিনাল মুহর্‌রম

পবিত্র আশুরা মিনাল মুহর্‌রম

আরবী বছরের প্রথম মাস মুহররম। আরবী বারটি মাসের মধ্যে যে চারটি মাসকে হারাম বা সম্মানিত বলে কুরআন শরীফ ও হাদীছ শরীফ-এ ঘোষণা করা হয়েছে, মুহররম মাস তার মধ্যে অন্যতম। আসমান-যমীন সৃষ্টিকাল হতেই এ মাসটি বিশেষভাবে সম্মানিত হয়ে আসছে। এ মাসেরই দশ তারিখ অর্থাৎ ১০ই মুহররম “আশূরা” দিনটি বিশ্বব্যাপী এক আলোচিত দিন। সৃষ্টির সূচনা হয় এই দিনে এবং সৃষ্টির সমাপ্তিও ঘটবে এ দিনেই। বিশেষ বিশেষ সৃষ্টি এ দিনেই করা হয় এবং বিশেষ বিশেষ ঘটনা এ দিনেই সংঘটিত হয়। 

আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার থেকে শুরু করে প্রথম নবী ও রসূল হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার পর্যন্ত প্রায় সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের উল্লেখযোগ্য কোনো না কোনো ঘটনা এ দিনে সংঘটিত হয়েছে। সঙ্গত কারণেই এ দিনটি সবার জন্য এক মহান আনুষ্ঠানিকতার দিন সাথে সাথে রহমত, বরকত, সাকীনা ও মাগফিরাত হাছিল করারও দিন। এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পবিত্র মর্যাদা, সম্মান ও খুছূছিয়ত ও হাবীবুল্লাহ হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। এ দিনে হযরত আদম আলাইহিস সালাম উনার দোয়া কবুল করা হয়। এ দিন মহান আল্লাহ পাক রব তায়ালা তিনি হযরত ইদরীস আলাইহিস সালাম উনাকে আকাশে তুলে নেন। এ দিন মহান আল্লাহ পাক তিনি হযরত নূহ আলাইহিস সালাম উনার কিস্তিকে জুদি পাহাড়ে ভিড়িয়েছিলেন। এ দিন হযরত ইবরাহীম আলাইহিস সালাম উনার বিলাদত শরীফ হয় এবং এই দিন উনাকে খলীল উপাধি দেয়া হয় এবং উনাকে নমরূদের আগুন থেকে বের করে আনা হয় অর্থাৎ হিফাযত করা হয়। এ দিন হযরত দাউদ আলাইহিস সালাম উনার মর্যাদা বৃদ্ধির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করা হয়। এ দিন হযরত আইয়ূব আলাইহিস সালাম তিনি অসুস্থতা থেকে আরোগ্য লাভ করেন। এ দিন হযরত মূসা আলাইহিস সালাম উনার সাথে মহান আল্লাহ পাক তিনি কথা বলেছিলেন এবং তাওরাত শরীফ নাযিল করেছিলেন। এ দিনেই হযরত মূসা আলাইহিস সালাম ও উনার সম্প্রদায় লোহিত সাগর পার হয়েছিলেন। এ দিন হযরত ইউনুস আলাইহিস সালাম তিনি মাছের পেট থেকে বের হয়েছিলেন। এ দিনই হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে আসমানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক তিনি দুনিয়া সৃষ্টি করেন এবং এ দিনেই ক্বিয়ামত সংঘটিত হবে। এ দিনেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম যমীনে বৃষ্টি নাযিল করেন। এ দিনেই হযরত জিবরীল আলাইহিস সালাম তিনি রহমতসহ সর্বপ্রথম যমীনে নাযিল হন। আর এদিনেই মহান আল্লাহ পাক তিনি সর্বপ্রথম পৃথিবীতে রহমত বর্ষণ করেন।




গুরুত্ব

হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ পাক উনার হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ করেন, “তোমরা মুহররম মাসকে এবং এর মধ্যস্থিত আশূরার দিনকে সম্মান কর। যে ব্যক্তি মুহররম মাস তথা আশূরার দিনকে সম্মান করবে, আল্লাহ পাক তিনি তাকে জান্নাত দ্বারা সম্মানিত করবেন এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি দান করবেন।” 

এ প্রসঙ্গে কিতাবে একটি ওয়াকিয়া বর্ণিত রয়েছে, এক ব্যক্তি ছিলো গরিব ও আলিম। একবার অসুস্থতার কারণে তিনি তিন দিন যাবৎ কাজ করতে পারলেন না। চতুর্থ দিন ছিল আশূরার দিন। তিনি আশূরার দিনে ভাল খাওয়ার ফযীলত সম্পর্কে জানতেন। তখন ছিলো কাজীদের (বিচারক) যুগ। কাজী ছাহেব ধনী ব্যক্তি ছিলো। তার কাছে আশূরার ফযীলতের কথা বলে এবং নিজের অসুস্থতা ও পরিবারের অভুক্ত থাকার কথা উল্লেখ করে দশ সের আটা, দশ সের গোশত ও দুই দিরহাম চাইলেন যে, ‘এই পরিমাণ খাদ্যদ্রব্য হাদিয়া অথবা কর্জ হিসেবে দিন।’ কাজী ছাহেব তাকে যোহরের সময় আসতে বললো। যোহরের সময় কাজী ছাহেব বললো, আছরে আসতে। কিন্তু এরপরে আছরের সময় মাগরিব, মাগরিবের সময় ইশা এবং ইশার সময় সরাসরি না করে দিলো। তখন গরিব আলিম ব্যক্তি বললেন, হে কাজী ছাহেব! আপনি আমাকে দিতে পারবেন না সেটা আগেই বলতে পারতেন, আমি অন্য কোথাও ব্যবস্থা করতাম। কিন্তু তা না করে আমাকে সারাদিন ঘুরিয়ে এই শেষ মুহূর্তে না করছেন? কাজী ছাহেব সেই গরিব, আলিম ব্যক্তির কথায় কর্ণপাত না করে ঘরের দরজা বন্ধ করে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করলো। 

মনের দুঃখে আলিম লোকটি তখন কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির দিকে রওয়ানা হলেন। পথে ছিলো এক খ্রিস্টানের বাড়ি। একজন বয়স্ক ব্যক্তিকে কাঁদতে দেখে উক্ত খ্রিস্টান তাঁকে কান্নার কারণ জিজ্ঞেস করলো। কিন্তু বিধর্মী বিধায় খ্রিস্টানকে প্রথমে তিনি কিছু বলতে চাইলেন না। অতঃপর খ্রিস্টানের অধীর আগ্রহের কারণে তিনি আশূরার ফযীলত ও তার বর্তমান দুরবস্থার কথা ব্যক্ত করলেন। খ্রিস্টান ব্যক্তি তখন উৎসাহী হয়ে তাকে আশূরার সম্মানার্থে দশ সের আটা, দশ সের গোশত, দুই দিরহাম এবং অতিরিক্ত আরো ২০ দিরহাম দিল এবং বললো যে, আপনাকে আমি আশূরার সম্মানার্থে প্রতিমাসে এ পরিমাণ হাদিয়া দিবো। ওই ব্যক্তি তখন তা নিয়ে বাড়িতে গেলেন এবং খাবার তৈরি করে ছেলে-মেয়েসহ আহার করলেন। অতঃপর দোয়া করলেন, “আয় আল্লাহ পাক! যে ব্যক্তি আমাকে সন্তুষ্ট করলো, আমার ছেলে-মেয়েদের মুখে হাসি ফোটালো, আল্লাহ পাক আপনি তার দিল খুশি করে দিন, তাকে সন্তুষ্ট করে দিন।” 

ওই রাতে কাজী ছাহেব স্বপ্ন দেখলো। স্বপ্নে কাজী ছাহেবকে বলা হচ্ছে, হে কাজী ছাহেব! তুমি মাথা উত্তোলন করো। মাথা তুলে কাজী ছাহেব দেখতে পেলো যে, তার সামনে দুটি বেহেশতের বালাখানা। একটি স্বর্ণের আরেকটি রৌপ্যের। কাজী ছাহেব বললো, ‘আয় আল্লাহ পাক! এটা কি?’ গায়িবী আওয়াজ হলো, ‘এ বালাখানা দুটি তোমার ছিলো। কিন্তু এখন আর তোমার নেই। কারণ তোমার কাছে যে গরিব আলিম লোকটি আশূরা উপলক্ষে সাহায্যের জন্য এসেছিলেন তাকে তুমি সাহায্য করোনি। এজন্য এ বালাখানা দুটি এখন ওমুক খ্রিস্টান লোকের হয়েছে।’ অতঃপর কাজী ছাহেবের ঘুম ভেঙে গেলো। ঘুম থেকে উঠে ওজু ও নামায আদায় করে সেই খ্রিস্টানের বাড়িতে গেলো। খ্রিস্টান কাজী ছাহেবকে দেখে বিস্ময়াভূত হলো। কারণ কাজী ছাহেব খ্রিস্টানের পড়শি হওয়া সত্ত্বেও জন্মের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো সময় তার বাড়িতে আসতে দেখেনি। 

অতঃপর খ্রিস্টান ব্যক্তি কাজী ছাহেবকে বললো, ‘আপনি এতো সকালে কি জন্য এলেন?’ কাজী ছাহেব বললো, ‘হে খ্রিস্টান ব্যক্তি! তুমি গত রাতে কি কোনো নেক কাজ করেছো?’ খ্রিস্টান ব্যক্তি বললো, আমার খেয়ালে আসে না যে, আমি কোনো উল্লেখযোগ্য নেক কাজ করেছি। তবে আপনি যদি জেনে থাকেন তাহলে আমাকে বলতে পারেন। তখন কাজী ছাহেব বললো, তুমি গত রাতে আশূরা উপলক্ষে এক গরিব আলিমকে দশ সের আটা, দশ সের গোশত, দুই দিরহাম এবং তার সাথে আরো বিশ দিরহাম হাদিয়া করেছো এবং প্রতি মাসে তাঁকে এ পরিমাণ হাদিয়া দেয়ার ওয়াদা করেছো। খ্রিস্টান ব্যক্তি তা স্বীকার করলো। কাজী ছাহেব বললো, তুমি তোমার এই নেক কাজ এক লক্ষ দিরহামের বিনিময়ে আমার নিকট বিক্রি করে দাও এবং তুমি উনার সাথে প্রত্যেক মাসে যে ওয়াদা করেছো আমি তাঁকে তা দিয়ে দিবো।’ খ্রিস্টান ব্যক্তি বললো, হে কাজী ছাহেব! আপনি কি জন্য এই সামান্য হাদিয়া করার বিনিময়ে আমাকে এক লক্ষ দিরহাম দিবেন সেটা স্পষ্ট করে বলুন? তখন কাজী ছাহেব তার স্বপ্নের কথা খুলে বললো যে, এই গরিব আলিম আশূরা উপলক্ষে আমার কাছে সাহায্য চেয়েছিলো আমি তাকে সাহায্য করিনি। যার কারণে রাতের বেলা আমাকে স্বর্ণ ও রৌপ্যের দ্বারা তৈরি বেহেশতের দুটি বালাখানা স্বপ্নে দেখিয়ে বলা হয়েছে, হে কাজী ছাহেব! ‘এ বালাখানা দুটি তোমার ছিলো। কিন্তু এখন আর তোমার নেই। কারণ তোমার কাছে যে গরিব আলিম লোকটি আশূরা উপলক্ষে সাহায্যের জন্য এসেছিলেন তাকে তুমি সাহায্য করোনি। এজন্য এ বালাখানা দুটি এখন ওমুক খ্রিস্টান লোকের হয়েছে।’ কাজী ছাহেব বললো, তুমি তো খ্রিস্টান। তুমি তো এই বালাখানা পাবে না। কারণ, ইসলাম আসার পরে পূর্ববর্তী সমস্ত ধর্ম বাতিল হয়ে গেছে। কাজেই সেই ধর্মের উপর যারা থাকবে তারা জান্নাত লাভ করতে পারবে না। তখন খ্রিস্টান ব্যক্তি বললো, আমি যদি ইসলাম গ্রহণ করি তাহলে কি এই বালাখানার মালিক হতে পারবো? তখন কাজী ছাহেব বললো, হ্যাঁ, তুমি যদি ইসলাম গ্রহণ করো তাহলে বালাখানা লাভ করতে পারবে। তখন খ্রিস্টান ব্যক্তি বললো, হে কাজী ছাহেব! আপনি সাক্ষী থাকুন আমি এক্ষণি কালিমা শরীফ পড়ে মুসলমান হয়ে গেলাম। সুবহানাল্লাহ! অর্থাৎ খ্রিস্টান ব্যক্তি পবিত্র আশূরাকে সম্মান করার কারণে মহান আল্লাহ পাক তিনি তাঁকে ঈমান দান করলেন এবং জাহান্নাম থেকে নাজাত দিয়ে জান্নাত দান করলেন। 

আশূরা শরীফকে কেন্দ্র করে অজ্ঞতার কারণে অনেকেই বক্তৃতা ও লিখনীতে বেশকিছু কুফরী আক্বীদার বিস্তার ঘটিয়ে থাকে। যেমন- কেউ কেউ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকেসহ অনেক নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের সমালোচনা করে থাকে। অর্থাৎ তাদের বক্তব্য হলো উনারা গুনাহখতা করেছেন, আল্লাহ পাক তিনি আশূরার দিনে উনাদেরকে ক্ষমা করেছেন। নাঊযুবিল্লাহ! আবার কেউ কেউ কারবালার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশিষ্ট ছাহাবী, কাতিবে ওহী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকেসহ অনেক ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের কঠোর সমালোচনা করে, তিরস্কার করে, গালি-গালাজ করে। নাঊযুবিল্লাহ! 

অথচ আহলে সুন্নত ওয়াল জামায়াতের ছহীহ ও বিশুদ্ধ আক্বীদা হচ্ছে- সকল নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনারা মা’ছূম অর্থাৎ সর্বপ্রকার গুনাহখতা, ভুল-ত্রুটি, লগজেস থেকে পবিত্র। এর খিলাফ আক্বীদা পোষণকারীরা মুসলমানের অন্তর্ভুক্ত নয়। অপরদিকে হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনিসহ সকল ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সমালোচনা করাও কাট্টা কুফরী। যারা ছাহাবায়ে কিরাম রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুম উনাদের সমালোচনা করে তারাও কুরআন শরীফ ও সুন্নাহ শরীফ-এর দৃষ্টিতে কাট্টা কাফির।



আমল

হাদীছ শরীফ-এ বর্ণিত হয়েছে-

১. আশূরা উপলক্ষে দুটি রোযা রাখা। 
     অর্থাৎ ৯, ১০ অথবা ১০, ১১ তারিখ। শুধু ১০ তারিখ রোযা রাখা মাকরূহ। 
২. সম্ভব হলে উক্ত দিনে যারা রোযা রাখবে তাদের এক বা একাধিকজনকে ইফতার করানো। 
৩. সাধ্যমত পরিবারবর্গকে ভাল খাওয়ানো। 
৪. গোসল করা। 
৫. চোখে মেশক মিশ্রিত সুরমা দেয়া। 
৬. গরিবদেরকে পানাহার করানো। 
৭. ইয়াতীমের মাথায় হাত বুলানো। প্রত্যেকটি আমলই সুন্নত এবং অশেষ ফযীলত লাভের কারণ। 

বর্তমানে বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশে নববর্ষ উপলক্ষে বছরের পহেলা দিন যেমন- পহেলা মুহররম, পহেলা বৈশাখ, পহেলা জানুয়ারিতে ভাল বা বিশেষ খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে। অথচ যারা মজূসী বা অগ্নিউপাসক কেবল তারাই খাছ করে নওরোজ বা নববর্ষ পালন করে থাকে অর্থাৎ বছরের পহেলা দিন উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করে। সাথে সাথে হিন্দু ও বৌদ্ধরাও বছরের পহেলা দিন পূজা করে থাকে। নববর্ষ উপলক্ষে খুশি প্রকাশ করা যেহেতু মজূসীদের খাছ রসম-রেওয়াজ, সাথে সাথে হিন্দু ও বৌদ্ধদেরও। তাই মুসলমানের জন্য এ দিনে আলাদাভাবে কোন খুশি প্রকাশ করা এবং আলাদাভাবে কোন ভাল বা বিশেষ খাবারের আয়োজন করা জায়িয নেই। বরং আয়োজন করা কঠিন কুফরীর অন্তর্ভুক্ত। বর্ণিত রয়েছে- আল্লাহ পাক উনার বিশিষ্ট ওলী হযরত ইমাম আবূ হাফছ্‌ কবীর রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “কেউ যদি নববর্ষ উপলক্ষে একটা ডিমও ব্যয় করে তাহলে তার অতীত জীবনের সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে যাবে।”

No comments:

Post a Comment