আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ্। বাংলাদেশ সম্পর্কে জানুন। এখানে রয়েছে ইসলামী বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ভাণ্ডার যা প্রতিটি মুসলমানের জন্য জানা অত্যাবশ্যক।***
যে কোন রোগের চিকিৎসা সেবা সহ অনলাইনে ফ্রি ডাক্তারের সাথে পরামর্শের সুযোগ ***
ডাঃ আহমদ ইমতিয়াজ ডি.এইচ.এম.এস, বি.এইচ.এম.সি (ঢাকা) মোবাইল - 01914440430 ই-মেইলঃ drahmadimtiaj@gmail.com ***

চাঁদ দেখে রমাদ্বান শরীফ শুরু ও শেষ করার হুকুম-আহকাম

চাঁদ দেখে রমাদ্বান শরীফ শুরু ও শেষ করার হুকুম-আহকাম

ان الله تعالى قد امده لرؤيته.

অর্থ: “নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি চাঁদ দেখার সাথে মাস নির্ধারণ করেছেন।” (মুসলিম শরীফ, মিশকাত শরীফ)

উপরোল্লিখিত প্রতিটি দিবসই চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট। চাঁদ উঠার মাধ্যমে মাস শুরু হওয়ার পরই এ সকল মহিমান্বিত দিবস এবং আমলসমূহের দিবস নির্ধারিত হয়ে থাকে। আর কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ দ্বারাই চাঁদ দেখে সংশ্লিষ্ট আমলসমূহ পালন করার নির্দেশ প্রমাণিত। সুতরাং রমাদ্বান শরীফ অবশ্যই নির্ভুলভাবে চাঁদ দেখে শুরু ও শেষ করতে হবে। যেমন এ প্রসঙ্গে হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে-
عن ابى هريرة رضى الله تعالى عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم صوموا لرؤيته وافطروا لرؤيته فان غم عليكم فاكملوا عدة شعبان ثلثين

অর্থ: “তোমরা চাঁদ দেখে রমাদ্বান শরীফ-এর রোযা রাখো এবং চাঁদ দেখেই রোযা শেষ করো তথা ঈদ পালন করো। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকায় তোমরা চাঁদ দেখতে না পাও তবে শা’বান মাস ত্রিশ দিনে পূর্ণ করো।” (বুখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
মূলত সব মাসের ক্ষেত্রে একই হুকুম। এক্ষেত্রে একদিন আগ-পিছ হলেই উক্ত আমলসমূহ কবুল হবে না। আরবী প্রতি মাস ২৯ কিংবা ৩০ দিনে পূর্ণ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে প্রতি মাসের ২৯ তারিখ শেষে চাঁদ তালাশ করে তারিখ নির্ধারণ করতে হয়। ২৯ তারিখে চাঁদ দেখা না গেলে সেই মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হয়ে থাকে। তারপর থেকে পরবর্তী মাস গণনা শুরু করতে হয়।
সুতরাং এ থেকে বুঝা যায় যে, ইবাদতসমূহ ছহীহ-শুদ্ধভাবে আদায় করার জন্য চাঁদ দেখার গুরুত্ব অপরিসীম। অতএব, প্রত্যেক এলাকা থেকে কিছু লোককে অবশ্যই চাঁদ তালাশ করতে হবে যা ওয়াজিবে কিফায়া। যদি কেউই তালাশ না করে তাহলে সকলেই ওয়াজিবে কিফায়া তরক করার কারণে গুনাহগার হবে।

চাঁদ নিয়ে ইহুদী-মুশরিকদের গভীর চক্রান্ত

মহান আল্লাহ পাক রব্বুল আলামীন তিনি ইরশাদ করেন-
انما النسئ زيادة فى الكفر.

অর্থ: “নিশ্চয়ই সময়কে (মাসকে) আগ-পিছ করা কুফরীকে বৃদ্ধি করে দেয়।” (সূরা তওবা : আয়াত শরীফ ৩৭)

নাসী বলা হয় চাঁদ অনুযায়ী মাস গণনা না করে তারিখ আগ-পিছ করাকে। যা কালামুল্লাহ শরীফে সুস্পষ্ট কুফরী বলা হয়েছে। শুধু কুফরীই নয়, বরং তা কুফরীর বৃদ্ধিসাধন করে। নাঊযুবিল্লাহ!
কেননা, চাঁদ যে দিন দৃশ্যমান হলো সেদিন থেকে তারিখ গণনা না করে যদি তার পর থেকে বা পূর্ব থেকে গণনা করা হয় তবে ওই মাসের চাঁদের সাথে সংশ্লিষ্ট সকল আমল নির্দিষ্ট সময়ে আদায় না করার কারণে বাতিল বলে গণ্য হবে।
মূলত এ বিষয়টি কাফির-মুশরিক, ইহুদী-নাছারারা উপলব্ধি করে মুসলমানদের সকল আমল নষ্ট করার লক্ষ্যে বর্তমানে বিভিন্ন মুসলিম দেশে তাদের পোষ্য বিভ্রান্ত মুসলিম শাসক দ্বারা নাসী তথা মাসকে আগ-পিছ করে যাচ্ছে। যার বাস্তব দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে সউদী আরবের ওহাবী সরকার। তাদের পূর্ব পুরুষ ইহুদী হওয়ার সুবাদে ইহুদীরা তাদের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় সব দেশে তারিখ আগ-পিছ করে মুসলমানদের বিশেষ বিশেষ আমল যেমন রোযা, হজ্জ, ঈদ, কুরবানী, শবে বরাত, শবে ক্বদর ইত্যাদি আমল বিনষ্ট করছে। এমনকি উলামায়ে ছূ’দের মাধ্যমে আমাদের দেশসহ সারা পৃথিবীতে সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে। নাঊযুবিল্লাহ!
তাই সকলকে এ বিষয়ে এখনই সতর্ক হতে হবে যেন ইহুদী-নাছারা, মুশরিকরা তাদের দালাল, ওহাবী-খারিজী, লা-মাযহাবী, উলামায়ে ছূ’দের মাধ্যমে মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করার সুযোগ না পায়। এক্ষেত্রে সকল মুসলিম উম্মাহকে সঠিক সুন্নতী পদ্ধতিতে চাঁদ দেখে ঈদ করার দিকে মনোযোগী হতে হবে।
আর এই কাজটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য এবং ইহুদী-নাছারাদের ষড়যন্ত্র থেকে মুসলমানদের ঈমান-আমল হিফাযত করার লক্ষ্যে যামানার ইমাম ও মুজতাহিদ, ইমামুল আইম্মাহ, মুইইস সুন্নাহ, কুতুবুল আলম, মুজাদ্দিদে আ’যম, সাইয়্যিদুনা ইমাম রাজারবাগ শরীফ-এর হযরত মুর্শিদ ক্বিবলা মুদ্দা জিল্লুহুল আলী তিনি আন্তর্জাতিক চাঁদ দেখা কমিটি- ‘রুইয়াতে হিলাল মজলিস’ গঠন করেন। যার মাধ্যমে প্রায় সারাবিশ্বের চাঁদের পরিসংখ্যান প্রতি মাসে বিশ্বের প্রায় ৩০০ কোটি মুসলমানের সম্মুখে তুলে ধরা হচ্ছে।

No comments:

Post a Comment