স্বপ্নে পাওয়া ইলিয়াসের ছয় উছুলী তাবলীগ বাতিল
মতবাদ।
বর্তমানে প্রচলিত যে তাবলীগ আমরা দেখতে পাই,
তার উদ্ভাবক ও প্রবক্তা হল ভারতের মেওয়াত নামক স্থানের ল্যাংড়া ইলিয়াছ মেওয়াতী। তার বাবা চিশতীয়া তরিকার অনুসারী ছিলেন। কিছু বর্ণনা মতে ইলিয়াছের পিতা চিশতীয়া তরিকার একজন পীর ছিলেন। তাই পীরের ছেলে
হিসেবে সবাই তাকে
সম্মান করতো। পিতার ইন্তেকালের পরে সে সুযোগ বুঝে নতুন
দল তথা তাবলীগ জামাত আরম্ভ করতে
থাকে।
সে
টাকার লোভে ব্রিটিশদের চক্রান্তে সঠিক পথ বাদ দিয়ে ভ্রান্ত পথের আবিস্কার করল । ব্রিটিশ সরকার টাকা ছিটিয়ে দুশ্চরিত্র ইবনে আব্দুল ওহাব-কে দিয়ে
ইসলামের মধ্যে ভ্রান্ত একটি দল সৃষ্টি করেছে, যা ওহাবী
দল নামে পরিচিত। আর তাবলীগ দল ওহাবী
দলেরই অংশ। কেননা ইলিয়াছ মেওয়াতী ওহাবী
গুরু রশীদ আহমদ
গাঙ্গুহীর শিষ্য।
ওহাবীরা তাবলীগীদের দিয়ে একটা
ভেড়ার দলে পরিনত
করছে। ভেড়ার দলের
চলার পথে একটা
ভেড়া যদি কোথাও
লাফ দেয়, তাহলে
সমস্ত ভেড়াগুলিও সেখানে লাফ দেয়। ভেড়াগুলি পর্যবেক্ষণ করে না যে, সামনে আসলেই কিছু
আছে কিনা। তাবলীগের অধিকাংশ মানুষ সেই ভেড়ার
দলের মত আচরণ
করে। তাবলীগে গিয়ে
তারা কোন অনুসন্ধান না করেই সবাই
যা করে সেও তাই করে।
১৯২৫ইং সালে (বাংলা ১৩৪৫)
তাবলীগ জামাতের যাত্রা শুরু হয়। ভারতের উত্তর প্রদেশের মেওয়াত অঞ্চলের মৌলভী ইলিয়াছ মেওয়াতী এই ভ্রান্ত তাবলীগ আবিস্কার করে স্বপ্নের মাধ্যমে। স্বয়ং ইলিয়াছ মেওয়াতি বলে,
“আজকাল খাবমে মুঝপর
উলুমে সহীহাকা এলকা
হোতা হায়”। অর্থাৎ আজকাল স্বপ্নে আমার উপর ওহী বা ঐশী বাণীর
আগমণ ঘটেছে। যখন এই স্বপ্নে প্রাপ্ত তাবলীগ নিজ অঞ্চলে প্রচার করতে থাকে,
তখন মেওয়াত অঞ্চলের আলেম-উলামা ও সাধারণ মানুষ ইহা প্রত্যাখ্যান করেন। মেওয়াত অঞ্চলের আলেমগণ বলেন,
ইহা ইসলামের পরিপন্থী এবং ইসলাম বহির্ভূত কাজ, সে নবী দাবী করছে। উত্তরে ইলিয়াছ মেওয়াতী বলে,
তোমরা আমার স্বপ্নের কথাটুকুই অন্তত বিশ্বাস কর। ’উস তাবলীগ কা তরীকা ভি মুঝপর খাবমে মুনকাশিফ হুয়া” অর্থাৎ আমার
কর্তৃক স্বপ্নযোগে একটি তাবলীগ ধারা উদঘাটিত ও বিকশিত হচ্ছে
(মালফুজাত নং ৫০)। সেজন্য সে যাতে বেশী বেশী
করে ঘুমাতে পারে
তার ব্যবস্থা করতে হবে (মালফুজাত নং ৫০)। পরবর্তীতে ইলয়াছ
মেওয়াতীকে মেওয়াত অঞ্চল
হতে আলেমগণ বের করে দেয়। এজন্য ইলয়াছ মেওয়াতী তার নিজ অঞ্চলের মানুষগণকে মুশরিক হতে অধম বলত (মালফুজাত নং ১৬৩)। সে অন্য অঞ্চলে গিয়ে
তার কাজ করতে
থাকে।
স্বপ্ন শরিয়তের কোন দালিল
নয়। স্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকেও হয়। যেমন ইলিয়াছ মেওয়াতীর ভক্ত মাওলানা জাকারিয়া ‘ফাজায়েলে হজ্জ’ এর ১৫৩ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করে, ‘হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হুকুম
বা নিষেধ যদি স্বপ্নে দেখা যায় তাহলে সেটাকে কুরআন-হাদীসের সামনে পেশ করতে হবে। যদি তা কুরআন-হাদীসের খেলাফ হয় তাহলে
বুঝতে হবে যে, স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব আছে।’ যেহেতু ৬ উসুলি তাবলীগ কুরআন-হাদীস বিরোধী, তাই মাওলানা জাকারিয়ার ভাষ্য অনুযায়ী ইলিয়াছ মেওয়াতীর স্বপ্নে শয়তানী প্রভাব রয়েছে। তাই ইলিয়াছি তাবলীগ সম্পূর্ণভাবে ইলিয়াছ মেওয়াতির মনগড়া মতবাদ। এর আরও প্রমান পাওয়া যায় মাওলানা জাকারিয়া কর্তৃক লিখিত
‘ফাজায়েলে তাবলীগ’ কিতাবে। উক্ত
কিতাবের ১৫ পৃষ্ঠায় সে উল্লেখ করে,
“দ্বীন ও দ্বীনের বিধানসমূহ উপক্ষো করিয়া
নিজের মনগড়া চিন্তা ধারার মাধ্যমে দ্বীনের উন্নতি কামনা করা হইতেছে।” তাই ইলিয়াছি তাবলীগ যে মনগড়া,
এতে কোন সন্দেহ নেই। মূলতঃ ইলিয়াছ মেওয়াতীর মনের ইচ্ছা
সে একটি নতুন
দল গঠন করবে। ইলিয়াছ মেওয়াতী তার শিষ্য জহিরুল হাসানকে লক্ষ্য করে বলে,
“আমার একটি নতুন
দল সৃষ্টি করতে
হবে (সূত্রঃ তাবলীগী দর্পণ)।”
১৯৩৮ সালের ১৪ই মার্চ
সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশাহর সাথে ইলিয়াছ মেওয়াতী ৪/৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদলসহ সাক্ষাত করে। সে এই সাক্ষাত ও আলোচনার পর থেকে ‘তাবলীগ জামাতের’ কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শুরু
করে। মূলত তাবলীগ একটি নতুন দল। এর প্রধান কার্যালয় হচ্ছে ভারতের দিল্লীর নিজামউদ্দিন আউলিয়া রহমতুল্লাহি এর মাজার সংলগ্ন মসজিদ। দ্বিতীয় কেন্দ্র হচ্ছে পাকিস্তানে এবং তৃতীয় প্রচারকেন্দ্র হচ্ছে বাংলাদেশের কাকরাইল মসজিদ, যা তাবলীগীদের থাকার হোটেল
নামে পরিচিত। কাকরাইল মসজিদে গেলে এটা যে মসজিদ তা বোঝার
উপায় নেই। শুধু কাপড়-চোপর টানানো এবং মাছ বাজারের মত লোকজনের চিল্লাচিল্লী।
এই হল বৃটিশ কতৃক
বাতিল ফিরকার উৎপত্তি যার ইসলাম হতে বহু দূরে ।
এই বাতিল ফিরকা বর্জন
করুন।
ছয় উছুলী তাবলীগ যে কাফিরদের গড়া বাতিল ফিরকা এবং কাফিরদের দোষর
আল্লাহ পাক বলেন" তারা
(কাফির) চায় যে, তারা যেমন কাফের,
তোমরাও তেমনি কাফের
হয়ে যাও, যাতে
তোমরা এবং তারা(কাফির) সব সমান
হয়ে যাও। অতএব, তাদের মধ্যে কাউকে
বন্ধুরূপে গ্রহণ করো
না, যে পর্যন্ত না তারা(কাফের)
আল্লাহর পথে হিজরত
করে চলে আসে। অতঃপর যদি তারা(কাফের) বিমুখ হয়, তবে তাদেরকে(কাফের)
পাকড়াও কর এবং যেখানে পাও হত্যা
কর। তাদের(কাফিরদের) মধ্যে কাউকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না এবং সাহায্যকারী বানিও না। (সূরা আন নিসা-৮৯)
পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার
মধ্যে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ
মুবারক করেন, “তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি কোনো অন্যায় বা হারাম কাজ সংঘটিত হতে দেখে সে যেন হাত দ্বারা বাধা দেয়। যদি সে হাত দ্বারা বাধা দিতে না পারে তাহলে সে যেন যবান দ্বারা বাধা দেয়। যদি যবানের দ্বারাও বাধা
দিতে না পারে
তাহলে যেন অন্তরে তা ঘৃণা করে উক্ত অন্যায় বা হারাম কাজ থেকে
দূরে সরে থাকে। আর এটা সবচেয়ে দুর্বল ঈমানের পরিচয়।” মুসলিম শরীফ
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
উনার থেকে বর্ণিত। তিনি
বলেন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি
ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে,
সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই
হবে।” (সুনানে আহমদ, সুনানে আবূ দাউদ)
যার ইসলাম নিয়ে নুন্যতম জ্ঞান আছে সে কখনো নিরিহ ,কাপুরুষ ,গাট্রি ছয় উছুলী করতে পারেনা।
গন্ডমুর্খ আর বদনসিবদের পক্ষেই গাট্রি নিয়ে ঘুরা সম্ভব।
No comments:
Post a Comment