মহিলাদের সুন্নতি পোশাক মুবারক
শাড়ি
একসময় হিন্দু নারীর পোশাক
ছিল, কিন্তু এখন আর
তাদের বিশেষ পোশাক থাকেনি। এখন
এটা মিশ্র পোশাকের অন্তর্ভুক্ত
হয়ে গেছে। সুতরাং
শাড়ি পরলে এবং অনুকরণের
নিয়ত না করলে বিধর্মীদের
সাদৃশ্যের গুনাহ হবে না
বটে কিন্তু যেহেতু শাড়ি
পরিধান করলে সাধারণত শরীরের
বিভিন্ন জায়গা খোলা থাকে
যেমন-পেট, পিঠ, বুক
হাতের বাহু ইত্যাদি, তাই
এভাবে শাড়ি পরিধান করা
বৈধ হবে না।
হ্যাঁ, কেউ যদি ব্লাউজ
এমনভাবে বানায় যদ্দারা উপরোক্ত
অংশগুলোও পুরোপুরি ঢেকে যায় এবং
শাড়ির উপর থেকে পেট-পিঠ ও বুকের
আকৃতি ফুটে না উঠে
তাহলে তা পরিধান করা
নাজায়েয নয়। (কেফায়াতুল
মুফতী ৯/১৭০; আপকে
মাসায়িল আওর উনকা হল্
৭/১৬৩)
শর্টকামিজ,
ধুতি থ্রি-পিস
এগুলো
অপসংস্কৃতি ও বিজাতীয় অনুকরণের
অন্যতম দৃষ্টান্ত। শরীয়ত
মেয়েদের সৌন্দর্য যথাসম্ভব ঢেকে থাকে এমন
পোশাকে উদ্বুদ্ধ করে। কিন্তু
বিজাতীয় নীতি এর উল্টো। তারা
চায় এমন পোশাক, যার
দ্বারা নারীর সৌন্দর্য আরো
প্রকাশ পায়। তাই
কামিজ থেকে শর্টকামিজ এবং
যতই দিন যাচ্ছে তা
আরো ছোট হচ্ছে এবং
আঁটশাট হচ্ছে। হাদীস
শরীফে এসেছে-দুই শ্রেণীর
লোক জাহান্নামী। ১.
ঐ সকল নারী, যারা
কাপড় পরিধান করা সত্ত্বেও
বিবস্ত্র থাকে ... তারা জান্নাতে যেতে
পারবে না। এমনকি
জান্নাতের ঘ্রাণও পাবে না।-সহীহ
মুসলিম হাদীস ২১২৮
কিছুদিন
আগে মেয়েদের ধুতি থ্রি-পিস
বের হয়েছে। ছেলেদের
জন্য বের হয়েছে ধুতি
পাঞ্জাবি সেট। নিচের
অংশ একেবারে ধুতির লেংটির আদলে
সেলাই করা। হঠাৎ
দেখলে হিন্দু বলে ভ্রম
হতে পারে, আসলে তারা
হিন্দু নয়, আমাদেরই মুসলিম
ভাই-বোন!
এই অবস্থাটা কতখানি দৈন্যের প্রমাণ
বহন করে? এই অবস্থার
পরিবর্তন কীভাবে হতে পারে
তা আমাদের অত্যন্ত গুরুত্বের
সঙ্গে ভেবে দেখা উচিত।
জান্নাতী রমনীদের সাজসজ্জা ও বাহ্যিক গঠন
মহান আল্লাহ পাক
বলেন
এবং তাদের জন্য পবিত্র স্ত্রীরা থাকবে এবং তারা সেখানে চিরকাল থাকবে
কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উল্লেখ করেন, জান্নাতি নারীরা সকল প্রকার বাহ্যিক অপবিত্রতা মুক্ত হবে, যেমন: হায়েজ, নিফাস, প্রস্রাব, পায়খানা, লালা এবং থুথু মুক্ত হবে । তারা সকল অসৎ অন্তরের রোগ হতেও মুক্ত হবে । যেমন: অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা, মুনাফিকী, (মিথ্যা) শপথ এবং খারাপ চরিত্র ইত্যাদি । আর এভাবে তাদের অন্তরে স্বামীদের প্রতি ক্ষুদ্রতম পরিমান অবাধ্যতাও থাকবে না ।
জান্নাতী রমণীদের পাগল করা রং
কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উল্লেখ করেন, জান্নাতি নারীরা সকল প্রকার বাহ্যিক অপবিত্রতা মুক্ত হবে, যেমন: হায়েজ, নিফাস, প্রস্রাব, পায়খানা, লালা এবং থুথু মুক্ত হবে । তারা সকল অসৎ অন্তরের রোগ হতেও মুক্ত হবে । যেমন: অন্যের ক্ষতি করার ইচ্ছা, মুনাফিকী, (মিথ্যা) শপথ এবং খারাপ চরিত্র ইত্যাদি । আর এভাবে তাদের অন্তরে স্বামীদের প্রতি ক্ষুদ্রতম পরিমান অবাধ্যতাও থাকবে না ।
জান্নাতী রমণীদের পাগল করা রং
আল্লাহ পাক বলেন:“এবং তাদের জন্য (জান্নাতে) থাকবে বড় এবং প্রীতিকর চোখবিশিষ্ট সুন্দরী রমণী (স্ত্রী) যারা হবে লুকানো মুক্তার ন্যায় । জান্নাতী রমণীরা
তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সু্ন্দর চামড়ার জন্যে তাজা মুক্তার মত হবে ।
আল্লাহ পাক বলেন,“ঐ রমনীরা এমন কোমল, সুন্দর ও পবিত্র হবে যেন তারা সংরক্ষিত ডিম ।
আল্লামা আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যাখ্যা করেন যে, আয়াতটি এমন ডিমের কথা বর্ণনা করে যা কোন মানুষের হাত এখনও স্পর্শ করেনি । সুতরাং তারা যে কোন প্রকারের ময়লা ও ধুলাবালী হতে মুক্ত ও পরিস্কার হবে । ঠিক তেমনিভাবে হুরও হবে সকল ধরনের অপবিত্রতা ও ভেজাল মুক্ত ।
ডিম ও হুর উভয়ের হলদে সাদা রংয়ের জন্যেও ডিমের সাথে হুরদের তুলনা করা হয়েছে । কেননা এই রং রমণীদের সর্বোচ্চ সুন্দর চামড়ার রং বলে বিবেচিত হয় ।
এই তুলনায় অন্য একটি ব্যাখ্যা আছে, তা হলো, ডিমের মধ্যে পদার্থের একে অপরের আনুপাতিক মিশ্রণ সর্বোচ্চ নিখুত । একইভাবে হুরের ক্ষেত্রেও তাদের শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ ও বহিরাবরণের অনুপাত সর্বোচ্চ নিখুত ও সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে ।
আল্লাহ পাক বলেন,“(সুন্দর্যের দিক দিয়ে) এই রমনীরা পদ্মরাগ মণি বা ইয়াকুত পাথর ও ছোট ছোট মুক্তার ন্যায় ।
হুর এবং পদ্মরাগ মণির মাঝে তুলনা হল ‘স্বচ্ছতা’ । একজন ব্যাক্তি পদ্মরাগ মণি ভেদ করে দেখতে পারে অপর পাশে কি আছে । তেমনি ভাবে একজন ব্যক্তি হুরকে তার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সুন্দর, নরম কোমলতা, উজ্জ্বলতা ও প্রীতিকর দৃশ্যের জন্য আল্লাহ তাদেরকে ছোট ছোট মুক্তার সাথে তুলনা করেছেন ।
জান্নাতী রমণীদের সুগন্ধি ও উজ্জলতা
আনাস (রাদি:) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর পথে (জিহাদের ময়দানে) এক সকাল অথবা এক বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম । এক হাত অথবা এক চাবুক লম্বা জান্নাত পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম । যদি জান্নাতী রমণী পৃথিবীতে এক পলক দৃষ্টিপাত করে তাহলে আসমান ও জমিনের মাঝের সবকিছু সে আলো ও সুগন্ধি দিয়ে দিয়ে ভরে ফেলবে । পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে জান্নাতী ললনাদের মাথার ওড়নাও অনেক উত্তম ।
যদি জান্নাতের ছোট একটি অংশই পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম হয় তাহলে পুরো জান্নাত ও এর আনন্দ কেমন হবে?
যদি জান্নাতী ললনাদের মাথার ওড়নাই পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম হয় তাহলে কি পরিমাণ সুন্দরী ও মূল্যবানই না হবে একজন সম্পূর্ন জান্নাতী রমণী (স্ত্রী)।
তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা ও সু্ন্দর চামড়ার জন্যে তাজা মুক্তার মত হবে ।
আল্লাহ পাক বলেন,“ঐ রমনীরা এমন কোমল, সুন্দর ও পবিত্র হবে যেন তারা সংরক্ষিত ডিম ।
আল্লামা আলুসী রহমতুল্লাহি আলাইহি ব্যাখ্যা করেন যে, আয়াতটি এমন ডিমের কথা বর্ণনা করে যা কোন মানুষের হাত এখনও স্পর্শ করেনি । সুতরাং তারা যে কোন প্রকারের ময়লা ও ধুলাবালী হতে মুক্ত ও পরিস্কার হবে । ঠিক তেমনিভাবে হুরও হবে সকল ধরনের অপবিত্রতা ও ভেজাল মুক্ত ।
ডিম ও হুর উভয়ের হলদে সাদা রংয়ের জন্যেও ডিমের সাথে হুরদের তুলনা করা হয়েছে । কেননা এই রং রমণীদের সর্বোচ্চ সুন্দর চামড়ার রং বলে বিবেচিত হয় ।
এই তুলনায় অন্য একটি ব্যাখ্যা আছে, তা হলো, ডিমের মধ্যে পদার্থের একে অপরের আনুপাতিক মিশ্রণ সর্বোচ্চ নিখুত । একইভাবে হুরের ক্ষেত্রেও তাদের শরীরের অঙ্গ প্রতঙ্গ ও বহিরাবরণের অনুপাত সর্বোচ্চ নিখুত ও সুন্দর করে তৈরি করা হয়েছে ।
আল্লাহ পাক বলেন,“(সুন্দর্যের দিক দিয়ে) এই রমনীরা পদ্মরাগ মণি বা ইয়াকুত পাথর ও ছোট ছোট মুক্তার ন্যায় ।
হুর এবং পদ্মরাগ মণির মাঝে তুলনা হল ‘স্বচ্ছতা’ । একজন ব্যাক্তি পদ্মরাগ মণি ভেদ করে দেখতে পারে অপর পাশে কি আছে । তেমনি ভাবে একজন ব্যক্তি হুরকে তার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, সুন্দর, নরম কোমলতা, উজ্জ্বলতা ও প্রীতিকর দৃশ্যের জন্য আল্লাহ তাদেরকে ছোট ছোট মুক্তার সাথে তুলনা করেছেন ।
জান্নাতী রমণীদের সুগন্ধি ও উজ্জলতা
আনাস (রাদি:) বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহর পথে (জিহাদের ময়দানে) এক সকাল অথবা এক বিকাল অতিবাহিত করা দুনিয়া ও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম । এক হাত অথবা এক চাবুক লম্বা জান্নাত পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম । যদি জান্নাতী রমণী পৃথিবীতে এক পলক দৃষ্টিপাত করে তাহলে আসমান ও জমিনের মাঝের সবকিছু সে আলো ও সুগন্ধি দিয়ে দিয়ে ভরে ফেলবে । পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে জান্নাতী ললনাদের মাথার ওড়নাও অনেক উত্তম ।
যদি জান্নাতের ছোট একটি অংশই পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম হয় তাহলে পুরো জান্নাত ও এর আনন্দ কেমন হবে?
যদি জান্নাতী ললনাদের মাথার ওড়নাই পৃথিবী ও এর মাঝে যা কিছু আছে তার চেয়ে উত্তম হয় তাহলে কি পরিমাণ সুন্দরী ও মূল্যবানই না হবে একজন সম্পূর্ন জান্নাতী রমণী (স্ত্রী)।
No comments:
Post a Comment