সুলতানুল হিন্দ খাজা মু্ঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহ আলাইহি
- মুবারক বিলাদত শরীফ:
সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী, আজমিরী, সাঞ্জেরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিশুদ্ধ মতে- ৫৩৬ হিজরীর ১৪ই রজব সোমবার দিন বিলাদত শরীফ লাভ করেন। উনার পিতা ছিলেন হযরত সাইয়্যিদ গিয়াস উদ্দিন হাছান রহমতুল্লাহি আলাইহি এবং মা ছিলেন হযরত উম্মুল ওয়ারা রহমতুল্লাহি আলাইহা। পিতা-মাতা উভয়ের দিক হতে তিনি ছিলেন আল হাসানী ওয়াল হুসাইনী ওয়াল কুরাঈশী অর্থাৎ নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার খাছ আওলাদ-এর অন্তর্ভুক্ত।
- বিলায়েত-কামালত মুবারক হাছিল:
উনার বয়স মুবারক যখন ১৫ বৎসর, তখনই উনার পিতা-মাতা উনারা উভয়ে বিছাল শরীফ লাভ করেন। পিতা-মাতা উনারা উভয়ে যমীন থেকে বিদায়ের পর তিনি ওয়ারিশ সূত্রে শুধুমাত্র একটি যাঁতি ও একটি আঙ্গুর ফলের বাগান লাভ করেন।
কিতাবে উল্লেখ করা হয়, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত উক্ত বাগানে কাজ করছিলেন; এমন সময় উক্ত বাগানে তাশরীফ আনলেন, মজ্জুব ওলী, হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি। গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু মাদারজাদ ওলী ছিলেন, তাই উনার অন্তরে ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি ছিল অফুরন্ত ভক্তি ও মুহব্বত। তিনি হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমতে কিছু আঙ্গুর ফল পেশ করলেন।
পক্ষান্তরে হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার থলি থেকে কিছু খাদ্য বের করে চিবিয়ে গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে খেতে দিলেন। গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত খাদ্য খাওয়ার পর উনার মধ্যে ভাবান্তর (হাল) সৃষ্টি হয়ে যায়। যার ফলে তিনি একমাত্র সম্পদ যাঁতি ও বাগান বিক্রি করে দিয়ে ইলমে দ্বীন অর্জন করার জন্য সফরে বের হয়ে যান। প্রথমে বুখারা গিয়ে সাড়ে সাত বৎসরে ইলমে ফিক্বাহতে পূর্ণ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। অতঃপর ইলমে তাছাউফ অর্জন করার লক্ষ্যে শায়খ তথা পীর ছাহেব তথা মুর্শিদ ক্বিবলা তালাশ করতে লাগলেন এবং তৎকালীন যামানার শ্রেষ্ঠ ও বিশিষ্ট বুযূর্গ ও ওলীআল্লাহ হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হয়ে প্রায় সাড়ে বিশ বৎসর কঠোর রিয়াযত-মাশাক্কাত ও মুরাক্বাবা-মুশাহাদার মাধ্যমে ইলমে তাছাউফে পূর্ণতা হাছিল করেন। এর পূর্বে উনার শায়খ হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে মুঈনুদ্দীন! চলুন, আপনাকে মহান আল্লাহ পাক ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট সোপর্দ করে দিব।”
একথা বলে হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে নিয়ে হজ্জে রওয়ানা হয়ে গেলেন। হজ্জ সমাপন করে অর্থাৎ কা’বা শরীফ যিয়ারত করার পর হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে মহান আল্লাহ পাক! হযরত মুঈনুদ্দীন উনাকে আপনার নিকট সোপর্দ করে দিলাম, আপনি উনাকে কবুল করুন।” গাইব থেকে নেদা হলো- “হে হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আমি হযরত আল্লাহ পাক মুঈনুদ্দীন উনাকে কবুল করে নিলাম।” সুবহানাল্লাহ!
কিতাবে উল্লেখ করা হয়, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি একদিন ওয়ারিশ সূত্রে প্রাপ্ত উক্ত বাগানে কাজ করছিলেন; এমন সময় উক্ত বাগানে তাশরীফ আনলেন, মজ্জুব ওলী, হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি। গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু মাদারজাদ ওলী ছিলেন, তাই উনার অন্তরে ওলীআল্লাহ উনাদের প্রতি ছিল অফুরন্ত ভক্তি ও মুহব্বত। তিনি হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার খিদমতে কিছু আঙ্গুর ফল পেশ করলেন।
পক্ষান্তরে হযরত ইবরাহীম কান্দুজী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনার থলি থেকে কিছু খাদ্য বের করে চিবিয়ে গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে খেতে দিলেন। গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন হাসান চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উক্ত খাদ্য খাওয়ার পর উনার মধ্যে ভাবান্তর (হাল) সৃষ্টি হয়ে যায়। যার ফলে তিনি একমাত্র সম্পদ যাঁতি ও বাগান বিক্রি করে দিয়ে ইলমে দ্বীন অর্জন করার জন্য সফরে বের হয়ে যান। প্রথমে বুখারা গিয়ে সাড়ে সাত বৎসরে ইলমে ফিক্বাহতে পূর্ণ ব্যুৎপত্তি লাভ করেন। অতঃপর ইলমে তাছাউফ অর্জন করার লক্ষ্যে শায়খ তথা পীর ছাহেব তথা মুর্শিদ ক্বিবলা তালাশ করতে লাগলেন এবং তৎকালীন যামানার শ্রেষ্ঠ ও বিশিষ্ট বুযূর্গ ও ওলীআল্লাহ হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট বাইয়াত হয়ে প্রায় সাড়ে বিশ বৎসর কঠোর রিয়াযত-মাশাক্কাত ও মুরাক্বাবা-মুশাহাদার মাধ্যমে ইলমে তাছাউফে পূর্ণতা হাছিল করেন। এর পূর্বে উনার শায়খ হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে মুঈনুদ্দীন! চলুন, আপনাকে মহান আল্লাহ পাক ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের নিকট সোপর্দ করে দিব।”
একথা বলে হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি উনাকে নিয়ে হজ্জে রওয়ানা হয়ে গেলেন। হজ্জ সমাপন করে অর্থাৎ কা’বা শরীফ যিয়ারত করার পর হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে মহান আল্লাহ পাক! হযরত মুঈনুদ্দীন উনাকে আপনার নিকট সোপর্দ করে দিলাম, আপনি উনাকে কবুল করুন।” গাইব থেকে নেদা হলো- “হে হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আমি হযরত আল্লাহ পাক মুঈনুদ্দীন উনাকে কবুল করে নিলাম।” সুবহানাল্লাহ!
- হিদায়েতের আনজাম:
অতঃপর মদীনা শরীফ গিয়ে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার রওজা শরীফ যিয়ারত করলেন। তখন হযরত উছমান হারূনী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বললেন, “হে মুঈনুদ্দীন! আপনি সালাম পেশ করুন।” তিনি সালাম দিলেন- “আসসালামু আলাইকুম ইয়া রসূলাল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম!” রওজা শরীফ হতে জবাব আসলো- “ওয়া আলাইকুমুস সালাম ইয়া কুতুবাল মাশায়িখ।” অর্থাৎ সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি স্বয়ং উনাকে লক্বব বা উপাধি দিলেন- “কুতুবুল মাশায়িখ” বা মাশায়িখগণ উনাদের কুতুব। সুবহানাল্লাহ!
সুলতানু হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ২য় বার যখন হযরত গাউছুল আ’যম বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রওযা মুবারক যিয়ারত করলেন, তখন উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লক্বব মুবারক দিলেন, কুতুবুল বাররি ওয়াল বাহরি।
তৃতীয় বার যখন রওযা মুবারক যিয়ারতে গেলেন তখন লক্বব মুবারক দিলেন কুতুবুল হিন্দু অর্থাৎ হিন্দুস্থানের কুতুবিয়ত উনাকে হাদিয়া করা হলো।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশক্রমে গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজ হিদায়েতের কেন্দ্রস্থল হিন্দুস্তানে চলে আসেন।
তিনি অক্লান্ত কোশেশ ও হিকমতপূর্ণ তাজদীদের মাধ্যমে হিন্দুস্তান থেকে শিরক, কুফর, বিদয়াত-বেশরা সম্পূর্ণরূপে মূলোৎপাটন করেন এবং উনার উসীলায় অসংখ্য লোক ঈমান লাভ করে মুসলমান হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। বর্ণিত রয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে উনি একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি এক কোটিরও বেশি লোককে ঈমান দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এত বিরাট সফলতা অর্জন করার একমাত্র কারণ হলো, তিনি আজীবন মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ ছিলেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ ফরমান, “তোমরা চিন্তিত হয়ো না, পেরেশান হয়ো না, তোমরাই কামিয়াবী অর্জন করবে, যদি তোমরা মু’মিন হতে পারো।”
সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু মু’মিনে কামিল ছিলেন এবং কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর উপর দৃঢ়ভাবে দায়িম-ক্বায়িম ছিলেন, তাই তিনি এত বিরাট কামিয়াবী বা সফলতা অর্জন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে কতটুকু কামিয়াবী বা সফলতা হাছিল করেছেন, নিম্নোক্ত ঘটনা থেকে তা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়।
সুলতানু হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি ২য় বার যখন হযরত গাউছুল আ’যম বড় পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার রওযা মুবারক যিয়ারত করলেন, তখন উনাকে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি লক্বব মুবারক দিলেন, কুতুবুল বাররি ওয়াল বাহরি।
তৃতীয় বার যখন রওযা মুবারক যিয়ারতে গেলেন তখন লক্বব মুবারক দিলেন কুতুবুল হিন্দু অর্থাৎ হিন্দুস্থানের কুতুবিয়ত উনাকে হাদিয়া করা হলো।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশক্রমে গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি নিজ হিদায়েতের কেন্দ্রস্থল হিন্দুস্তানে চলে আসেন।
তিনি অক্লান্ত কোশেশ ও হিকমতপূর্ণ তাজদীদের মাধ্যমে হিন্দুস্তান থেকে শিরক, কুফর, বিদয়াত-বেশরা সম্পূর্ণরূপে মূলোৎপাটন করেন এবং উনার উসীলায় অসংখ্য লোক ঈমান লাভ করে মুসলমান হওয়ার সৌভাগ্য অর্জন করেন। বর্ণিত রয়েছে, পৃথিবীর ইতিহাসে উনি একমাত্র ব্যক্তি, যাঁর উসীলায় মহান আল্লাহ পাক তিনি এক কোটিরও বেশি লোককে ঈমান দান করেন। সুবহানাল্লাহ!
গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার এত বিরাট সফলতা অর্জন করার একমাত্র কারণ হলো, তিনি আজীবন মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ ছিলেন।
মহান আল্লাহ পাক তিনি অন্যত্র ইরশাদ ফরমান, “তোমরা চিন্তিত হয়ো না, পেরেশান হয়ো না, তোমরাই কামিয়াবী অর্জন করবে, যদি তোমরা মু’মিন হতে পারো।”
সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যেহেতু মু’মিনে কামিল ছিলেন এবং কুরআন শরীফ, হাদীছ শরীফ, ইজমা ও ক্বিয়াস-এর উপর দৃঢ়ভাবে দায়িম-ক্বায়িম ছিলেন, তাই তিনি এত বিরাট কামিয়াবী বা সফলতা অর্জন করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, হযরত খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি যে কতটুকু কামিয়াবী বা সফলতা হাছিল করেছেন, নিম্নোক্ত ঘটনা থেকে তা সুস্পষ্টভাবেই প্রমাণিত হয়।
- সুসংবাদ:
সীরাত গ্রন্থে উল্লেখ আছে, গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার যখন বিদায় নেয়ার সময় হলো তখন তিনি উনার প্রধান খলীফা হযরত কুতুবুদ্দীন বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাকে ডেকে বললেন, “হে বখতিয়ার কাকী! আমার সময় শেষ, আমার নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার যা নিয়ামত রয়েছে, তা আমি আপনাকে দিয়ে যাচ্ছি, আপনি তার হক্ব আদায় করবেন। আর আপনি দিল্লি চলে যান, আপনার হিদায়েত বা দ্বীন প্রচারের স্থল হলো দিল্লি।” হযরত বখতিয়ার কাকী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মহামান্য শায়খ উনার নির্দেশ পালনার্থে আমি দিল্লি চলে গেলাম। সেখানে গিয়ে বিশ দিন পর আমি সংবাদ পেলাম আমার মহাসম্মানিত শায়খ গরীবে নেওয়াজ হযরত খাজা হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বিদায় নিয়েছেন। মহামান্য শায়খ উনার বিদায়ের কারণে আমার মন ভারাক্রান্ত হয়ে গেল। আমি আছর নামায পড়ে জায়নামাযে বসা ছিলাম। এমন সময় আমার তন্দ্রা এসে যায়, আমি দেখতে পেলাম, আমি আমার মহামান্য শায়খ উনার সম্মুখে উপস্থিত। আমি মহামান্য শায়খ উনাকে দেখে সালাম দিলাম ও কদমবুছী করলাম। অতঃপর জিজ্ঞাসা করলাম, “হে আমার শায়খ! আপনি মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের রেযামন্দির জন্য ৯৭টি বৎসর ব্যয় করেছেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি আপনার সাথে কেমন ব্যবহার করেছেন?
জবাবে গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “হে বখতিয়ার কাকী! প্রথমত মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন। দ্বিতীয়ত যাঁরা আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে মকবুল, উনারা আরশের অধিবাসী হবেন। অর্থাৎ উনারা সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে মশগুল থাকবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি দয়া করে আমাকে সেই আরশের অধিবাসী উনাদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অর্থাৎ আমি সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে মশগুল আছি।” সুবহানাল্লাহ!
জবাবে গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, “হে বখতিয়ার কাকী! প্রথমত মহান আল্লাহ পাক তিনি আমাকে ক্ষমা করেছেন। দ্বিতীয়ত যাঁরা আল্লাহ পাক উনার নিকট সবচেয়ে মকবুল, উনারা আরশের অধিবাসী হবেন। অর্থাৎ উনারা সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে মশগুল থাকবেন। মহান আল্লাহ পাক তিনি দয়া করে আমাকে সেই আরশের অধিবাসী উনাদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন। অর্থাৎ আমি সর্বদা মহান আল্লাহ পাক উনার দীদারে মশগুল আছি।” সুবহানাল্লাহ!
- সুন্নত পালনের অপার নিদর্শন:
গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি পরিপূর্ণভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার মতে মত ও উনার রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার পথে পথ হওয়ার কারণেই অর্থাৎ সুন্নতের পূর্ণ অনুসরণ করার কারণেই এত বিরাট সফলতা অর্জন করেছেন।
উনি যে কতটুকু সুন্নতের অনুসরণ করতেন সে প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়- গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স মুবারক যখন নব্বই বছর তখন তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎ লাভ করলেন। যদিও ওলীআল্লাহ উনারা সর্বদাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ লাভ করে থাকেন। যখন বিশেষ সাক্ষাৎ লাভ করলেন তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বললেন, “হে মুঈনুদ্দীন! (মুঈনুদ্দীন অর্থ- দ্বীনের সাহায্যকারী)! আপনি সত্যিই আমার দ্বীনের সাহায্যকারী, আপনি আমার সব সুন্নতই পালন করেছেন, তবে একটি সুন্নত এখনো বাকি রয়ে গেল কেন?”
গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি চিন্তা করে দেখলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে দ্বীনের খিদমতে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি তখনও বিবাহ করেননি। তাই তিনি নব্বই বৎসর বয়স মুবারকে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশে পর পর দু’টি বিবাহ করে এ সুন্নতও আদায় করলেন। সুবহানাল্লাহ! মূলত সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে কুদরতীভাবে ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারক দান করেন।
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে হাবীবুল্লাহ হলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসী শরীফ-এ বলেন, “আমি আমার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খলীল ও হাবীব হিসেবে গ্রহণ করেছি।” সুবহানাল্লাহ!
উনি যে কতটুকু সুন্নতের অনুসরণ করতেন সে প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়- গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার বয়স মুবারক যখন নব্বই বছর তখন তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার বিশেষ সাক্ষাৎ লাভ করলেন। যদিও ওলীআল্লাহ উনারা সর্বদাই হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার সাক্ষাৎ লাভ করে থাকেন। যখন বিশেষ সাক্ষাৎ লাভ করলেন তখন সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি উনাকে বললেন, “হে মুঈনুদ্দীন! (মুঈনুদ্দীন অর্থ- দ্বীনের সাহায্যকারী)! আপনি সত্যিই আমার দ্বীনের সাহায্যকারী, আপনি আমার সব সুন্নতই পালন করেছেন, তবে একটি সুন্নত এখনো বাকি রয়ে গেল কেন?”
গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি চিন্তা করে দেখলেন যে, মহান আল্লাহ পাক উনার ও উনার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাদের সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে দ্বীনের খিদমতে ব্যস্ত থাকার কারণে তিনি তখনও বিবাহ করেননি। তাই তিনি নব্বই বৎসর বয়স মুবারকে হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার নির্দেশে পর পর দু’টি বিবাহ করে এ সুন্নতও আদায় করলেন। সুবহানাল্লাহ! মূলত সুন্নতের পরিপূর্ণ অনুসরণ করার কারণেই মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে কুদরতীভাবে ‘হাবীবুল্লাহ’ লক্বব মুবারক দান করেন।
হযরত নবী-রসূল আলাইহিমুস সালাম উনাদের মধ্যে হাবীবুল্লাহ হলেন- সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি। যেমন মহান আল্লাহ পাক তিনি হাদীছে কুদসী শরীফ-এ বলেন, “আমি আমার রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে খলীল ও হাবীব হিসেবে গ্রহণ করেছি।” সুবহানাল্লাহ!
- তিনি হাবীবুল্লাহ:
আর ওলীআল্লাহ উনাদের মধ্যে যদিও অনেকেই ‘হাবীবুল্লাহ’। কিন্তু দু’জন ব্যক্তি পৃথিবীতে ‘হাবীবুল্লাহ’ হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেছেন। একজন হলেন হযরত যুননূন মিছরী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। আর দ্বিতীয়জন হলেন সুলত্বানুল হিন্দ, গরীবে নেওয়াজ, খাজা মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি। উনারা বিছাল শরীফ লাভের পর উনাদের কপাল মুবারক-এ কুদরতীভাবে সোনালি অক্ষরে লিখিত হয়েছিল- ‘হা-যা হাবীবুল্লাহ, মাতা ফী হুব্বিল্লাহ’ অর্থাৎ তিনি মহান আল্লাহ পাক উনার হাবীব, মহান আল্লাহ পাক উনার মুহব্বতেই তিনি বিছাল শরীফ লাভ করেছেন। সুবহানাল্লাহ!
স্মরণযোগ্য যে, এই মহান ওলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তরীক্বার নাম হলো- “চিশতীয়া তরীক্বা” অর্থাৎ তিনিই এ তরীক্বার ইমাম। এ তরীক্বা সম্পর্কেও রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে গাউসুল আ’যম, বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ও আফযালুল আওলিয়া, মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের ন্যায় গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতিও শত-সহস্রবার ইলহাম করা হয়েছে এই বলে যে, “হে হযরত মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনাকে ক্ষমা করা হলো এবং আপনাকে যারা মধ্যস্থতায় ও বিনা মধ্যস্থতায় উসীলা বানাবে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাদেরকেও ক্ষমা করা হলো।” সুবহানাল্লাহ!
স্মরণযোগ্য যে, এই মহান ওলী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার তরীক্বার নাম হলো- “চিশতীয়া তরীক্বা” অর্থাৎ তিনিই এ তরীক্বার ইমাম। এ তরীক্বা সম্পর্কেও রয়েছে বিশেষ সুসংবাদ।
এ প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে গাউসুল আ’যম, বড়পীর ছাহেব রহমতুল্লাহি আলাইহি ও আফযালুল আওলিয়া, মুজাদ্দিদে আলফে সানী রহমতুল্লাহি আলাইহি উনাদের ন্যায় গরীবে নেওয়াজ, হাবীবুল্লাহ হযরত খাজা ছাহিব রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার প্রতিও শত-সহস্রবার ইলহাম করা হয়েছে এই বলে যে, “হে হযরত মুঈনুদ্দীন চিশতী রহমতুল্লাহি আলাইহি! আপনাকে ক্ষমা করা হলো এবং আপনাকে যারা মধ্যস্থতায় ও বিনা মধ্যস্থতায় উসীলা বানাবে, ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাদেরকেও ক্ষমা করা হলো।” সুবহানাল্লাহ!
- তিনি ৬৩৩ হিজরীর ৬ই রজব বিছাল শরীফ লাভ করেন।
No comments:
Post a Comment