হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু
হাদীস শরীফে বর্ণিত হয়েছে, নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি দোয়া মুবারক করেন, ‘আয় আল্লাহ পাক! হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে হাদী ও হিদায়েতপ্রাপ্ত করুন এবং উনার দ্বারা লোকদের হিদায়েত দান করুন।’ (তিরমিযী শরীফ)
আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি শুধু ছাহাবীই নন, বরং জলীলুল ক্বদর ছাহাবী, কাতিবে ওহী, গুপ্তভেদ জাননেওয়ালা ছাহাবী এবং ন্যায়পরায়ণ খলীফাও ছিলেন।
হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন, খাতামুন নাবিইয়ীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছাহাবী উনাদের মধ্যে একজন বিশেষ শ্রেণীর ছাহাবী রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু যাকে ‘উলুল আ’যম’ বা ‘জলীলুল ক্বদর’ ছাহাবী বলা হয়।
হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার মর্যাদা-মর্তবার মধ্যে অন্যতম মর্যাদা হলো, তিনি ছিলেন একজন আদিল বা ইনসাফগার খলীফা। অর্থাৎ খলীফাতুল মুসলিমীন, আমীরুল মু’মিনীন। উনার ন্যায়বিচার ও ইনসাফ সম্পর্কে কিতাবে উল্লেখ করা হয়, জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত ছাহাবী হযরত সা’দ ইবনে আবী ওয়াক্কাছ রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি বলেন, “আমার দৃষ্টিতে হযরত উছমান যুন নূরাইন আলাইহিস সালাম উনার পর আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার চেয়ে অধিক ন্যায় বিচারক কেউ নেই।”
পবিত্র হাদীছ শরীফে বর্ণিত রয়েছে, আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ মুবারক করেন, “আমার উম্মতের প্রথম যে দল সমুদ্রের জিহাদে অংশগ্রহণ করবে, উনাদের জন্যে জান্নাত ওয়াজিব।” সুবহানাল্লাহ! (বুখারী শরীফ)
হযরত ইমাম তাবারী রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বর্ণনা করেন, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তিনি আটাশ হিজরীতে সর্বপ্রথম সমুদ্র জিহাদের মাধ্যমে কাবরাসের উপর আক্রমণ করেন এবং কাবরাস তিনিই বিজয় করেন।
হযরত ইমাম শিহাবুদ্দীন খাফফাযী রহমতুল্লাহি আলাইহি বলেন, “যে ব্যক্তি আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনার প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, গালি দেয়, নাক্বিছ বলে, সমালোচনা করে, সে হাবিয়া দোযখের কুকুরসমূহের মধ্য হতে একটি কুকুর।”
কাজেই, ইয়াযীদ মালউনের জন্য বিশিষ্ট ছাহাবী, আমীরুল মু’মিনীন হযরত মুআবিয়া রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু উনাকে দোষারোপ করা বা উনার সমালোচনা করা সম্পূর্ণরূপে কুফরী।
No comments:
Post a Comment