অযুর নিয়ম
"বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
পবিত্রতা লাভের উদ্দেশে এবং আল্লাহ্' পাকের ইবাদত ও সন্তুষ্টির লক্ষে আমি ওযু করছি।
প্রথমে দু‘হাত কব্জি পর্যন্ত- তিনবার ধৌত করার পর
মুখে ও নাকে তিনবার পানি দিয়ে কুলি করা ও নাক পরিষ্কার করা।
অতঃপর মুখমন্ডল ধৌত করা (কপালের উপর চুল গজানোর স্থান থেকে নিয়ে দাড়ির নিম্নভাগ, এবং এক কান থেকে নিয়ে অপর কান পর্যন্ত-)।
এরপর দু’হাতের আঙ্গুলের শুরু থেকে কনুই পর্যন্ত- তিন বার ধৌত করা। প্রথমে ডান হাত অতঃপর বাম হাত।
আবার নতুন করে দু’হাত পানি দিয়ে ভিজিয়ে তা দ্বারা মাথা মাসেহ্ করা। দু‘হাত মাথার অগ্রভাগ থেকে নিয়ে পিছন দিকে ফিরায়ে অতঃপর অগ্রভাগে নিয়ে এসে শেষ করা। তারপর দু‘কান মাসেহ্ করা। দু‘হাতের দুই তর্জনী কানের ভিতরের অংশ এবং দু‘বৃদ্ধাঙ্গলী দিয়ে বাহিরের অংশ মাসেহ্ করা। এর জন্য নতুনভাবে পানি নেয়ার দরকার নেই।
অতঃপর দু‘পা টাখনুসহ তিনবার ধৌত করা। প্রথমে ডান পা, তারপর বাম পা।
পা ধৌত করার সময় বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলি দ্বারা পায়ের আঙ্গুলগুলি নীচ থেকে খিলাল করা মুস্তাহাব সুন্নত এবং খিলাল করার পর পায়ের আঙ্গুলির নীচে যে খাঁজ থাকে তা কনিষ্ট থেকে বৃদ্ধাঙ্গুলি পর্যন্ত উক্ত বাম হাতের কনিষ্ট আঙ্গুলি দ্বারা টেনে দেওয়াটাও মুস্তাহাব সুন্নতের অর্ন্তভূক্ত।
ওজু শেষে আকাশের দিকে তাকিয়ে এই দোয়া পড়লে জান্নাতের দরজাসমূহ ঐ ব্যক্তির জন্য খুলে দেওয়া হয়।
أَََشْهَدُ أَنْ لا إلَه إِلّا الله وَ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُوْلُهُ
আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাছুলুহু।
অজুর ফরজ সমুহ:
১. সমস্ত মুখমন্ডল একবার ধোয়া।
২ কনুই সহ উভয় হাত একবার ধোয়া।
৩. মাথা মসেহ করা।
৪. টাখনু সহ উভয় পা একবার ধোয়া।
বি:দ্র:-কোন ফরজ বাদ পড়লে অজু হবেনা।কিন্তু সুন্নত বাদ পড়লে অজু হয়ে যাবে তবে সুন্নতের সওয়াব থেকে মাহরুম হবে।
অজুর সুন্নত সমুহ:
১-বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম বলে অজু শুরু করা।
২. কবজি সহ উভয় হাত তিন বার ধোয়া।
৩. কুলি করা।
৪. নাকে পানি দেওয়া।
৫. মেসওয়াক করা।
৬. সমস- মাথা একবার মসেহ করা।
৭. প্রত্যেক অঙ্গ তিন বার করে ধোয়া।
৮. কান মসেহ করা।
৯. হাতের আঙ্গুল সমুহ খেলাল করা।
১০. পায়ের আঙ্গূল সমুহ খেলাল করা।
১১. ডান দিক থেকে অজু শুরু করা।
১২. ক্বোরানে বর্নিত ধারাবাহিকতা রক্ষা করা।
১৩. গর্দান মসেহ করা।
১৪. অজু শুরুতে মেসওয়াক করা।
১৫. দুই কান মসেহ করা।
১৬. এক অঙ্গের পানি শুকানোর পুর্বেই অন্য অঙ্গ ধৌত করা।
বি:দ্র: পুরুষের ঘন দাড়ি থাকলে মুখমন্ডল ধোয়ার পর ভিজা হাতে তিন বারদাড়ি খিলাল করতে হবে।
অজুর মাকরূহ সমুহ
১. অযুর সুন্নত সমুহের যে কোন সুন্নত ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দিলে অযু মাকরূহহবে।
২. প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি ব্যয় করা।
৩. মুখমন্ডল ধৌত করার সময় সজোরে মুখে পানি নিক্ষেপ করা।
৪. বিনা ওজরে বাম হাত দ্বারা কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়ার সময় ডান হাতে নাক পরিস্কার করা।
৫. অপবিত্র স্থানে অযু করা।
৬,. মসজিদের মধ্যে অযু করা,তবে কোন পাত্রের মধ্যে অযু করা জায়েয।
৭. কফ্কাশী বা নাকের ময়লা অযুর পানির মধ্যে নিক্ষেপ করা।
৮. বিনা কারনে অন্যের সাহায্য নেওয়া।
৯.অযু করে কিংবা গোসল করে কোন ইবাদত না করে সেই অযু থাকা অবস্থায় নতুন অযু করা মাকরূহ।
অযু ভঙ্গের কারন সমুহঃ
১. প্রসাব-পায়খানা করলে।
২. পায়খানার রাস্তা দিয়ে বায়ু নির্গত হলে।
৩. শরীরের কোন অংশ থেকে রক্ত বা পুঁজ বের হয়ে গড়িয়ে পড়লে।
৪. নিদ্রামগ্ন হলে।
৫. মুখ ভরে বুমি করলে।
৬. নামাযের মধ্যে সশব্দে হাসলে।
বি:দ্র: অসুস্থ ব্যাক্তি যাদের দাঁত থেকে রক্ত আসে কিংবা প্রায়ই লিঙ্গের মুখে পানি চলে আসে তারা চিকিৎসা কালীন সময়ে ভালভাবে একবার অযু করে ঐ অযুর দ্বারা এক ওয়াক্তের নামাজ সমূহ আদায় করতে পারবেন। তবে সম্ভব হলে অযু করার পর অতিরিক্ত কাপড় থাকলে পাক সাফ কাপড় পরিধান করা নেওয়াটা তাক্বওয়া।
জায়নামাজের দোয়াঃ
নামাজের জন্য দাঁড়িয়েই পড়তে হয়,ইন্নি ওয়াজ্জাহ তু ওয়াজ্ হিয়া লিল্লাজি, ফাত্বরস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল্ আরদ্বা হানি-ফাওঁ ওয়ামা-আনা মিনাল মুশরিকী-ন।
অর্থ-নিশ্চয়ই আমি আল্লাহ পাক উনার দিকে মুখ করলাম, যিনি আসমান ও যমীন সৃষ্টি করেছেন এবং বাস্তবিকই আমি মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত নই ।
এরপর নামাজের নিয়াত করে তাক্কবীরে তাহরীমা (আল্লহু আকবার) পাঠ করতে হবে।
নামাজের সংকল্প করাটাই নামাজের নিয়ত । মুখে উচ্চারণ করা মুস্তাহাব সুন্নতের অর্ন্তভূক্ত। (মনে মনে যা কেবলমাত্র নিজে শ্রবণ করা যায় বা উপলব্ধি করা যায়)
সমস্ত নামাজেই ,নাওয়াইঃতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া'লা
(২ রাকাত হলে) রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(৩ রাকাত হলে) ছালাছা রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(৪ রাকাত হলে) আর্ বায় রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(ওয়াক্তের নাম) ফাজ্ রি/ জ্জুহরি/আ'ছরি/মাগরবি/ইশাই/জুমুয়া'তি
(কি নামাজ তার নাম) ফরজ হলে ফারদ্বুল্ল-হি, ওয়াযিব হলে ওয়াজিবুল্ল-হি, সুন্নত হলে সুন্নাতু রসূলিল্লাহি তায়া'লা, নফল হলে নাফলি।
(সমস্ত নামাজেই) মুতাওয়াজ্জিহান্ ইলা জিহাতিল্ কা'বাতিশ শারীফাতি আল্ল-হু আক্ বার।
বাংলায় নিয়াত করতে চাইলে বলতে হবে, আমি আল্লাহ্'র উদ্দেশ্যে ক্বিবলা মুখী হয়ে,
ফজরের নামাজ হলে বলতে হবে ফাজরি
জোহরের আসরের হলে বলতে হবে যোহরি
আছরের নামাজ হলে বলতে হবে আছরি
মাগরিবের হলে বলতে হবে মাগরবি
মাগরিবের হলে বলতে হবে মাগরবি
ঈ’শার হলে বলতে হবে ঈ’শায়ি
জুময়ার হলে বলতে হবে জুময়াতি
বি'তরের হলে বলতে হবে বি’তরি
তারাবির হলে বলতে হবে তারাবি
তাহাজ্জুদের হলে বলতে হবে তাহাজ্জুদ
ইশরাকের হলে বলতে হবে ইশরাক
চাশতের হলে বলতে হবে চাশত
আওয়াবীনের হলে বলতে হবে আওয়াবীন
(ছলাতুল হাযত অথবা যে নামাজ হয় তার নাম)
২ রা'কায়াত/ ৩ রা’কায়াত/ ৪ রা’কায়াত (যে কয় রাকাত নামাজ তার নাম)
ফরজ/ওয়াজিব/সুন্নাত/নফল নামাজ পড়ার নিয়াত করছি, আল্লাহু আকবার ।
২ রা'কায়াত/ ৩ রা’কায়াত/ ৪ রা’কায়াত (যে কয় রাকাত নামাজ তার নাম)
ফরজ/ওয়াজিব/সুন্নাত/নফল নামাজ পড়ার নিয়াত করছি, আল্লাহু আকবার ।
আল্লাহু আকবার বলা যাবে না। বলতে হবে আল্ল-হু আক্ বার। কেননা আল্লাহ পাক শব্দের লামকে মোটা বা পোর করে পড়তে হয়।
আক্বামত
জামায়াতে নামাজ আদায়ের লক্ষে ইমাম সাহেবর পিছনে দণ্ডায়মান মুসল্লিগণের মধ্য হতে একজন নিম্নক্তো কালাম মুবারকগুলো জোরালোভাবে উচ্চারণ করে থাকেন। যা আক্বামত নামে পরিচিত।
আল্ল-হু আক্ বার (৪বার)আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২বার)আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুল্লাহ (২বার)হাইয়া আলাস্ সালাহ (২বার)হাইয়া আলাল্ ফালাহ (২বার)ক্বদ্-কামাতিস ছলাহ্ (২বার)আল্ল-হু আক্ বার (২বার)লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২বার)
আল্ল-হু আক্ বার (৪বার)আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২বার)আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুল্লাহ (২বার)হাইয়া আলাস্ সালাহ (২বার)হাইয়া আলাল্ ফালাহ (২বার)ক্বদ্-কামাতিস ছলাহ্ (২বার)আল্ল-হু আক্ বার (২বার)লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ (২বার)
আক্বামতের জবাব
আক্বামতের জবাব দেওয়া ওয়াজিব। ইমাম সাহেব সহ উনার পিছনে সমবেত মুসল্লিগণ তা শ্রবণ করত অনুরুপ কালাম সমূহ মনে মনে বলবেন।
তবে, আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুল্লাহ শ্রবণে প্রতিবারই চোখে বুছা দিবেন এবং আশহাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসুল্লাহ না বলে বলবেন ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
হাইয়া আলাস্ সালাহ এবং হাইয়া আলাল্ ফালাহ এর পরিবর্তে বলবেন লা হাওল ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লা
ক্বদ্-কামাতিস ছলাহ্ এর পরিবর্তে বলবেন
ক্বদ্-কামাতিস ছলাহ্ এর পরিবর্তে বলবেন
আক্বামাহা ওয়া আদ্বামাহা
নামাজের নিয়ত ও তাকবীরে তাহরীমা
নামাজের ইচ্ছা করাই হচ্ছে নামাজের নিয়াত করা। মুখে উচ্চারণ করা মুস্তাহাব সুন্নত যা কেবলমাত্র নিজে শুনা বা অনুধাবন করা।
সমস্ত নামাজেই ,নাওয়াইঃতু আন্ উছাল্লিয়া লিল্লাহি তায়া'লা
(২ রাকায়াত হলে) রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(৩ রাকায়াত হলে) ছালাছা রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(৪ রাকায়াত হলে) আর্ বায় রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(২ রাকায়াত হলে) রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(৩ রাকায়াত হলে) ছালাছা রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(৪ রাকায়াত হলে) আর্ বায় রাক্ 'য়াতাই ছলাতিল
(ওয়াক্তের নাম) ফাজ্ রি/ জ্জুহরি/আ'ছরি/মাগরিবি/ইশাই/জুমুয়া'তি
(কি নামাজ তার নাম) ফারদ্বুল্লা-হি/ওয়াজিবুল্ল-হি/সুন্নাতি রসূলিল্লাহি/নাফলি।
(সমস্ত নামাজেই) তায়া'লা মুতাওয়াজ্জিহান্ ইলা জিহাতিল্ কা'বাতিশ শারীফাতি আল্ল-হু আক্ বার।
নামাজের নিয়ত শিখে নেওয়াটা কোন কঠিন কাজ নয়। তবে মুখস্ত না হওয়ার পর্যন্ত মাজুর হিসেবে এভাবে বাংলায়ও নিয়ত করা যেতে পারে।
আমি মহান আল্লা-হ্ পাকে'র উদ্দেশ্যে ক্কেবলা মুখী হয়ে, ফজরের/জোহরের/আসরের/মাফরিবের/ঈশার/জুময়ার/বি'তরের/তারঅবি/তাহাজ্জুদের (অথবা যে নামাজ হয় তার নাম)২ র'কাত/৩র'কাত/৪ র'কাত (যে কয় রাকাত নামাজ তার নাম)ফরজ/ওয়াজিব/সুন্নাত/নফল নামাজ পড়ার নিয়াত করলাম, আল্ল-হু আকবার ।
আমি মহান আল্লা-হ্ পাকে'র উদ্দেশ্যে ক্কেবলা মুখী হয়ে, ফজরের/জোহরের/আসরের/মাফরিবের/ঈশার/জুময়ার/বি'তরের/তারঅবি/তাহাজ্জুদের (অথবা যে নামাজ হয় তার নাম)২ র'কাত/৩র'কাত/৪ র'কাত (যে কয় রাকাত নামাজ তার নাম)ফরজ/ওয়াজিব/সুন্নাত/নফল নামাজ পড়ার নিয়াত করলাম, আল্ল-হু আকবার ।
নামাযের পূর্বে অযু করা ফরজ। অযু ব্যতীত নামাজ পড়া জাযেজ নেই। তবে ওযর থাকলে তাওয়ামুম করে নিলেও চলবে।অযু ব্যতীত সিজদা করা হারাম।
ছানা
হাত বাধার পর (নাভীর উপর বাম হাতের উপর ডান হাত বেধে, মহিলাদের ক্ষেত্রে বুকেরে উপর অনুরূপভাবে হাত বেধে) ছানা পাঠ করতে হয়।
সুবহা-না কাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহাম্ দিকা ওয়াতাবারঅ কাস্ মুকা ওয়াতা’ আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলা-হা গয়রুক।
অর্থ-হে আল্লাহ পাক ! আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং আপনার মহিমা বর্ণনা করছি। আপনার নাম বরকতময়, আপনার মাহাত্ম্য সর্বোচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কেহই ইবাদতের যোগ্য নয় ।
সুবহা-না কাল্লা-হুম্মা ওয়া বিহাম্ দিকা ওয়াতাবারঅ কাস্ মুকা ওয়াতা’ আ-লা জাদ্দুকা ওয়া লা-ইলা-হা গয়রুক।
অর্থ-হে আল্লাহ পাক ! আমি আপনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি এবং আপনার মহিমা বর্ণনা করছি। আপনার নাম বরকতময়, আপনার মাহাত্ম্য সর্বোচ্চ এবং আপনি ব্যতীত কেহই ইবাদতের যোগ্য নয় ।
তাআ’উজঃ
আউযুবিল্লা-হি মিনাশ শাইত্ব-নির রজীম ।
অর্থ-বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ পাক উনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি ।
তাসমিয়াঃ
অর্থ-বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহ পাক উনার নিকট আশ্রয় চাচ্ছি ।
তাসমিয়াঃ
বিসমিল্লাহির রহ্মানির রহিম ।
অর্থ-পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহ পাক উনার নামে শুরু করছি ।
অর্থ-পরম দাতা ও দয়ালু আল্লাহ পাক উনার নামে শুরু করছি ।
এরপর সূরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করতে হয়,
আয়াত নং ১ الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আলহামদু লিল্লাহি রব্লিল আ’লামিন
অর্থ-সমস্ত প্রসংশা একমাত্র আল্লাহ পাক উনার জন্য ।
আয়াত নং ২ الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ
আর রহহমানির রহিম
অর্থ-যিনি পরম করুনাময় ও মহান দয়ালু
আয়াত নং ৩ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
অর্থ-যিনি বিচার দিনের মালিক
আয়াত নং ৪ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
ইয়্যা কানা’বুদু ওয়াইয়্যা-কানাস তাঈন
অর্থ-আমরা যেন আপনারই এবাদত করি এবং আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি
আয়াত নং ৫ اهدِنَـا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
ইহদিনাস সিরাত্বাল মুস্তাক্বিম
অর্থ-আপনি আমাদের সরল পথ দেখান
আয়াত নং ৬ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ
সিরাত্বাল্লাযিনা আন আ’মতা আলাইহিম
অর্থ-তাদের পথ যাদের আপনি নিয়ামত (অনুগ্রহ) দান করেছেন ।
আয়াত নং ১ الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ
আলহামদু লিল্লাহি রব্লিল আ’লামিন
অর্থ-সমস্ত প্রসংশা একমাত্র আল্লাহ পাক উনার জন্য ।
আয়াত নং ২ الرَّحْمـنِ الرَّحِيمِ
আর রহহমানির রহিম
অর্থ-যিনি পরম করুনাময় ও মহান দয়ালু
আয়াত নং ৩ مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ
মালিকি ইয়াওমিদ্দিন
অর্থ-যিনি বিচার দিনের মালিক
আয়াত নং ৪ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ
ইয়্যা কানা’বুদু ওয়াইয়্যা-কানাস তাঈন
অর্থ-আমরা যেন আপনারই এবাদত করি এবং আপনারই সাহায্য প্রার্থনা করি
আয়াত নং ৫ اهدِنَـا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
ইহদিনাস সিরাত্বাল মুস্তাক্বিম
অর্থ-আপনি আমাদের সরল পথ দেখান
আয়াত নং ৬ صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ
সিরাত্বাল্লাযিনা আন আ’মতা আলাইহিম
অর্থ-তাদের পথ যাদের আপনি নিয়ামত (অনুগ্রহ) দান করেছেন ।
(আল্লাহ পাক অনত্র ইরশাদ করেন নিয়ামত দান করা হয়েছে নবী, সিদ্দিক, শহীদ সলেহগণকে)সুবহানাল্লাহ। অর্থাৎ বর্তমান সময়ে নবীদের পাওয়া যাবে না। আর আল্লাহ পা্ক উনার জন্য স্বীয় জীবনটাকে বিলিয়ে দেওয়া বা শাহাদত বরণ করার জন্য অন্তর পরিশুদ্ধ করা চাই। আর সেজন্য কামিল মুর্শিদ বা হক্কানী ওলী আল্লাহ উনার নিকট বাইয়াত করে উনার সোহবত ইখতিয়ার করতে এবং উনার তরতীব মুতাবিক যিকির ফিকির করতে হবে। আর এই আয়াতে কারীমে সেই ওলী আল্লাহ উনাদের কথাই বলা হয়েছে উনাদের সংস্পর্শে আসলে সাধারণ মানুষ আল্লাহ পাক উনার নিয়ামত লাভে ধন্য হতে পারবেন।
আয়াত নং ৭ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلا الضَّالِّينَ َ
গাইরিল মাগদুবে আলাইহিম ওয়ালাদ্ব দ্বো-য়াল্লিন
অর্থ-তাদের পথ নয়,যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট। (ইহুদী নাসারা মুজুসী মুশরিক)
আয়াত নং ৭ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلا الضَّالِّينَ َ
গাইরিল মাগদুবে আলাইহিম ওয়ালাদ্ব দ্বো-য়াল্লিন
অর্থ-তাদের পথ নয়,যারা অভিশপ্ত ও পথভ্রষ্ট। (ইহুদী নাসারা মুজুসী মুশরিক)
ক্বিরাত করা
সূরা ফাতিহা শরীফ তিলাওয়াতের পর পবিত্র কুরআন শরীফ হতে কমপক্ষে ছোট তিন আয়াত শরীফ অথবা যে কোন একটি বড় আয়াত শরীফ যা ছোট তিন আয়াত শরীফের সমপরিমান অথবা পূণাঙ্গ একটি সূরা পাঠ করতে হবে।
প্রথম রাকায়াতে পবিত্র কুরআন শরীফ হতে যে কোন আয়াত শরীফ ক্বিরাত করলে পরবর্তী রাকায়াতে ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে পরবর্তী যে কোন আয়াত শরীফ ক্বিরাত করা যাবে এক্ষেত্রে এক আয়াত বা একাধিক আয়াত শরীফ পাঠ না করে অর্থাৎ ছেড়ে দিয়ে পরবর্তী আয়াত শরীফ থেকে ক্বিরাত আরম্ভ করলে শরীয়তে কোন বাধা নেই।
নামাজে ক্বিরাত করার ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষ পবিত্র কুরআন শরীফের শেষ দশটি শুরা পাঠ করে থাকেন। কারণ উক্ত শুরা গুলি সহজ কিন্তু শেষের দশটি শুরা শরীফের ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতায় একটি শুরা শরীফ বাদ দিয়ে পরবর্তী রাকায়াতে অন্য শুরা ক্বিরাত করা জায়িয নেই। বাদ দিলে বা ছেড়ে গেলে কমপক্ষে দুইটি শুরা ছেড়ে ক্বিরাত করতে হবে।যেমন: প্রথম রাকায়াতে সূরা ফীল-আলাম তারা ক্বিরাত করা হলে এর পর দ্বিতীয় রাকায়াতে সূরা কুরাইশ ক্বিরাত করতে হবে। দ্বিতীয় রাকায়াতে সূরা কুরাইশ এর পরিবর্তে সূরা মাউন ক্বিরায়াত করা যাবে না। এক্ষেত্রে ছেড়ে যেতে চাইলে দ্বিতীয় রাকায়াতে সূরা কুরাইশ ও সূরা মাউন উভয় সূরার পরবর্তী ধারাবাহিকতায় যে কোন সুরা ক্বিরাত করা যাবে। যেমন সূরা কাওছার ক্বিরাত করা যেতে পারে। অন্যথায় নামাজ শুদ্ধ হবেনা। আর এ করনেই উক্ত শুরা শরীফ সমূহের ধারাবাহিকতা জেনে নেওয়া অত্যাবশ্যক। নিম্নে এ বিষয়ে আলোকপাত করা হলো:-
সূরা ফীল- আলাম তারা
সূরা কুরাইশ- লী ইলাফি কুরাইশীন
সূরা মাউন- আরওয়াই তাল্লাযী
সূরা কাওছার-ইন্না আত্বইনা
সুরা কাফিরূন-কূল ইয়া আয্যুহাল কাফিরুন
সূরা নছর-ইযা যা আ নাছরুল্লাহি
সূরা লাহাব-তাব্বত ইয়াদা আবি লাহাবিয়্যিউ
সূরা ইখলাছ-কূল হু ওযাল্লহু আহাদ
সূরা ফালাক্ব- কূল আয়্যুযু বি রব্বিল ফালাক্ব
সূরা নাস- কূল আয়্যুযু বি রব্বিন নাস
ক্বিরাতিল ইমাম ক্বিরাতি মুক্তাদী
জামাতের ক্ষেত্রে ইমাম নিজের এবং মুক্তাদীর পক্ষ থেকেই ক্বিরাত করে থাকেন বিধায় আমাদের হানাফী মাযহাব মুতাবিক যারা ইমাম সাহেবের পিছনে ইক্তিদা করবেন তাদের সূরা ফাতিহা কিংবা অন্য কোন সূরা ক্বিরাত পাঠ করার কোন আবশ্যকতা থাকেনা।
রুকূ
ক্বিরাত শেষে আল্লাহ আকবার (اَللَّهُ اَكْبَرُ) বলে রুকূতে যাওয়া। স্বীয় হস্তদ্বয় হাটুদ্বয়ের উপর রেখে পিঠকে প্রসারিত করে স্থিরভাবে রুকূ করা। রুকুতে ৩/৫/৭ নিম্নক্তো তাছবীহ পাঠ করতে হয়।
سُبْحَانَ رَبِّيَ الْعَظِيْمِ))
‘ছুবহানা রব্বীয়াল আযীম’।
অর্থঃ আমি মহান প্রতিপালক উনার পবিত্রতা ঘোষণা করছি।
রুকূ হতে সোজা হয়ে দাঁড়ানো।
রুকূ হতে উঠে সোজা হয়ে দাড়ানোর সময় বলতে হবে
( سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ)
ছামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ।
অর্থঃ প্রশংসাকারীর প্রসংশা আল্লাহ পাক শ্রবন করছেন।
একাকী কিংবা জামায়াতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ইমাম ও মুক্তাদী সকলকেই পাঠ করতে হবে।
অতঃপর ইমাম সাহেব সোজা হয়ে দাঁড়ালে বলতে হবে
رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ))
রব্বানা লাকাল হাম্ দ।
অর্থঃ হে আমার প্রতিপালক! সকল প্রশংসা আপনার জন্য।
সিজদাহ
অতঃপর আল্ল-হু আকবার বলে সিজদাহ করতে হবে।
সিজদাহ
অতঃপর আল্ল-হু আকবার বলে সিজদাহ করতে হবে।
মুখমণ্ডলের দুই পাশে দুই হাত ক্বিবলা বরাবর মাটিতে অবনত রেখে এমনভাবে মহান আল্লাহ পাক উনার উদ্দেশ্যে এমনভাবে সিজদাহ করতে হবে যেন প্রথমে নাক ও কপাল মাটিতে স্পর্শ করে।
অতঃপর রুকুর ন্যায় সিজদাহ –এর ক্ষেত্রেও ৩/৫/৭ নিম্নক্তো তাছবীহ পাঠ করতে হয়।
(سُبْحَانَ رَبِّيَ الاَعْلَى)
“ছুবহানা রাব্বীয়াল আ‘লা”।
অর্থঃ ‘আমি আমার সুউচ্চ প্রতিপালকের পবিত্রতা বর্ণনা করছি’।
আল্ল-হু আকবার বলে সিজদাহ থেকে মাথা উঠাতে।
জলসাঃ
জলসাঃ
(দুই সিজদাহ মাঝখানে বসা)
প্রথম সিজদাহ ও সিজদাহ তাসবীহ পাঠ করার পর নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ‘আল্লাহ আকবার’ বলে স্বীয় মাথা মুবারক উত্তলন করে দুই সিজদাহ মাঝখানে সোজা স্থির হয়ে বসতেন এবং এই দূ‘আ পাঠ করতেন,
اَللَّهُمَّ اغْفِرْلِىْ وَ ارْحَمْنِى وَ اهْدِنِىْ وَ عَافِنِىْ وارْزُقْنِىْ
উচ্চারণঃ ‘আল্লাহু ম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী’
অর্থঃ “হে আল্লাহ পাক! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন, হিদায়াত দান করুন, মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং জীবিকা দান করুন”।
উচ্চারণঃ ‘আল্লাহু ম্মাগ ফিরলী ওয়ার হামনি ওয়ার যুক্কনী’
অর্থঃ “হে আল্লাহ পাক! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, দয়া করুন, হিদায়াত দান করুন, মর্যাদা বৃদ্ধি করুন এবং জীবিকা দান করুন”।
এক্ষেত্রে দু’আ জানা না থাকলে কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমান সময় স্থির হয়ে বসা ওয়াজিব।
এই দূ‘আ পাঠ করে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ আকবার বলে দ্বিতীয় সাজদায় যেতেন এবং প্রথম সিজদাহ মতই দ্বিতীয় সাজদায় তাসবীহ পাঠ করতেন। অতঃপর আল্ল-হু আকবার বলে সিজদাহ থেকে স্বীয় মাথা মুবারক উঠাতেন এবং দ্বিতীয় রাকা‘আতের জন্য সোজা হয়ে দাঁড়াতেন।
দ্বিতীয় রাকা‘আতঃ
দ্বিতীয় রাকা‘আতে প্রথম রাকা‘আতের ন্যায় সবকিছু করতেন, তবে ছানা ও আউযুবিল্লাহ পাঠ করতেন না। একথা বিশেষভাবে স্মরণ রাখা দরকার যে, প্রত্যেক নামাযের প্রত্যেক রাকা‘আতে সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরজ।
(অর্থাৎ সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর নিয়মানুয়ী ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ক্বিরাত শেষ করে রুকু, সোজা হয়ে দাড়ানো, সিজদাহ করা, সোজা হয়ে বসা, পূনঃরায় সিজদাহ করা। তবে দ্বিতীয় কিংবা শেষ রাকায়াতে দ্বিতীয় সিজদাহ এর পর সোজা হয়ে না দাড়িয়ে সোজা হয়ে বসে কওমায় বা উক্ত বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করতে হয়।)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চার রাকা‘আত বা তিন রাকা‘আত বিশিষ্ট নামাযের প্রথম দুই রাকা‘আত শেষে কওমায় তাশাহ্*হুদ পাঠের জন্য বসার সময় দুই সিজদাহ মাঝখানে বসার ন্যায় বসতেন। (বুখারী)
তাশাহুদঃ
আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস্ ছলাওয়াতু ওয়াত্বায়্যিবাতু আস্ সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্ নাবিউ ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আস্-সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সলিহীন আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহা’ম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।
(অর্থাৎ সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর নিয়মানুয়ী ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ক্বিরাত শেষ করে রুকু, সোজা হয়ে দাড়ানো, সিজদাহ করা, সোজা হয়ে বসা, পূনঃরায় সিজদাহ করা। তবে দ্বিতীয় কিংবা শেষ রাকায়াতে দ্বিতীয় সিজদাহ এর পর সোজা হয়ে না দাড়িয়ে সোজা হয়ে বসে কওমায় বা উক্ত বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করতে হয়।)
নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম চার রাকা‘আত বা তিন রাকা‘আত বিশিষ্ট নামাযের প্রথম দুই রাকা‘আত শেষে কওমায় তাশাহ্*হুদ পাঠের জন্য বসার সময় দুই সিজদাহ মাঝখানে বসার ন্যায় বসতেন। (বুখারী)
তাশাহুদঃ
আত্তাহিয়াতু লিল্লাহি ওয়াস্ ছলাওয়াতু ওয়াত্বায়্যিবাতু আস্ সালামু আলাইকা আইয়্যুহান্ নাবিউ ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু আস্-সালামু আলাইনা ওয়া আলা ইবাদিল্লাহিস্ সলিহীন আশহাদু আল্লাইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহা’ম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু।
অর্থঃ আমাদের শ্রদ্ধা, আমাদের নামাজ এবং সকল প্রকার পবিত্রতা একমাত্র আল্লাহ পাক উনার জন্য। হে নবী নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আপনার প্রতি সালাম। আপনার উপর আল্লাহ পাক উনার রহমত এবং অনুগ্রহ বর্ষিত হউক । আমাদের ও আল্লাহ পাক উনার নেক বান্দাদের উপর উনার রহমত এবং অনুগ্রহ বর্ষিত হউক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ পাক ছাড়া আর কেউ নেই, আমি আরও সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আল্লাহ পাক উনার বান্দা এবং রাসুল ।
তাশাহ্হুদ পাঠ করার সময় আশহাদু আল্লাইলাহা বলা মাত্রই ডান হাতের শাহাদত আঙ্গুলি খাড়া/ উঠানো মুস্তাহাব সুন্নত। অতঃপর ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহা’ম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু পড়তে পড়তে আঙ্গুলি নামাতে হবে।
তাশাহ্হুদ পাঠ করার সময় আশহাদু আল্লাইলাহা বলা মাত্রই ডান হাতের শাহাদত আঙ্গুলি খাড়া/ উঠানো মুস্তাহাব সুন্নত। অতঃপর ইল্লাল্লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহা’ম্মাদান আব্দুহু ওয়া রাসূলুহু পড়তে পড়তে আঙ্গুলি নামাতে হবে।
তাশাহ্হুদ পাঠ করার পর আল্ল-হু আকবার বলে চার বা তিন রাকা‘আত বিশিষ্ট নামাযের বাকী নামাযের জন্য পূনঃরায় দাঁড়াতে হবে।
তৃতীয় রাকা‘আতঃ
তৃতীয় রাকা‘আতে দ্বিতীয় রাকা‘আতের ন্যায় সবকিছু করতেন। (অর্থাৎ সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর নিয়মানুয়ী ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ক্বিরাত শেষ করে রুকু, সোজা হয়ে দাড়ানো, সিজদাহ করা, সোজা হয়ে বসা, পূনঃরায় সিজদাহ করা।দ্বিতীয় সিজদাহ এর পর সোজা হয়ে দাড়ান।
তবে তিন রাকায়াত নামাজের ক্ষেত্রে ইহাই শেষ রাকায়াত। আর তাই এক্ষেত্রে দ্বিতীয় সিজদাহ এর পর সোজা হয়ে না দাড়িয়ে সোজা হয়ে বসে তাশাহুদ এবং দরূদ শরীফ এবং দু’আ মাসুরা পাঠ করে যথারীতি প্রথমে ডান দিকে অতঃপর বাম দিকে সালাম ফিরায়ে নামাজ শেষ করতে হবে।
চতুর্থ রাকা‘আতঃ
চতুর্থ রাকা‘আতে প্রথম রাকা‘আতের ন্যায় সবকিছু করতেন।
(অর্থাৎ সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর নিয়মানুয়ী ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ক্বিরাত শেষ করে রুকু, সোজা হয়ে দাড়ানো, সিজদাহ করা, সোজা হয়ে বসা, পূনঃরায় সিজদাহ করা। চতুর্থ কিংবা শেষ রাকায়াতে দ্বিতীয় সিজদাহ এর পর সোজা হয়ে না দাড়িয়ে সোজা হয়ে বসে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ এবং দু’আ মাসুরা পাঠ করতে হয়।)
শেষ বৈঠক ও সালাম ফেরানোঃ
তাশাহ্হুদ পাঠের জন্য শেষ বৈঠকে বসা ওয়াজিব। তবে বসার সময় ডান পা খাঁড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসা। এভাবে বসে প্রথমে আত্যাহিয়াতু পাঠ শেষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (দরূদ শরীফ) সালাত পাঠ করতে হবে। যা দরূদে ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) নামে মশহুর।
দরূদ শরীফঃ
(অর্থাৎ সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর নিয়মানুয়ী ধারাবাহিকতা ঠিক রেখে ক্বিরাত শেষ করে রুকু, সোজা হয়ে দাড়ানো, সিজদাহ করা, সোজা হয়ে বসা, পূনঃরায় সিজদাহ করা। চতুর্থ কিংবা শেষ রাকায়াতে দ্বিতীয় সিজদাহ এর পর সোজা হয়ে না দাড়িয়ে সোজা হয়ে বসে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ এবং দু’আ মাসুরা পাঠ করতে হয়।)
শেষ বৈঠক ও সালাম ফেরানোঃ
তাশাহ্হুদ পাঠের জন্য শেষ বৈঠকে বসা ওয়াজিব। তবে বসার সময় ডান পা খাঁড়া রেখে বাম পায়ের উপর বসা। এভাবে বসে প্রথমে আত্যাহিয়াতু পাঠ শেষে নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার উপর (দরূদ শরীফ) সালাত পাঠ করতে হবে। যা দরূদে ইব্রাহীম (আলাইহিস সালাম) নামে মশহুর।
দরূদ শরীফঃ
আল্লহুম্মা ছল্লি আ’লা মুহা’ম্মাদিও ওয়া আ’লা আ’লি মুহা’ম্মাদিন কামা ছল্লাইতা আলা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আ’লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাযীদ। আল্লহুম্মা বারিক আ’লা মুহা’ম্মাদিও ওয়া আ’লা আ’লি মুহা’ম্মাদিন কামা বারাকতা আ’লা ইব্রাহীমা ওয়া আ’লা আ’লি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাযীদ ।
অর্থ-হে আল্লাহ পাক, দয়া ও রহমত করুন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি এবং তার বংশধরদের প্রতি, যেমন রহমত করেছেন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর। নিশ্চই আপনি উত্তম গুনের আধার এবং মহান। হে আল্লাহ পাক, বরকত নাযিল করুন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি এবং তার বংশধরদের প্রতি, যেমন করেছেন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও উনার বংশধরদের উপর।নিশ্চই আপনি প্রশংসার যোগ্য ও সম্মানের অধিকারী ।
দরূদ পাঠ শেষে দূ‘আ মাসুরা পাঠ করতে হবে(বুখারী),
অর্থ-হে আল্লাহ পাক, দয়া ও রহমত করুন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি এবং তার বংশধরদের প্রতি, যেমন রহমত করেছেন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও তার বংশধরদের উপর। নিশ্চই আপনি উত্তম গুনের আধার এবং মহান। হে আল্লাহ পাক, বরকত নাযিল করুন নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর প্রতি এবং তার বংশধরদের প্রতি, যেমন করেছেন হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালাম ও উনার বংশধরদের উপর।নিশ্চই আপনি প্রশংসার যোগ্য ও সম্মানের অধিকারী ।
দরূদ পাঠ শেষে দূ‘আ মাসুরা পাঠ করতে হবে(বুখারী),
দূ‘আ মাসুরাঃ
আল্লহুম্মা ইন্নি জালামতু নাফসী জুলমান কাছীরাও ওয়ালা ইয়াগফিরুজ্ জুনুবা ইল্লা আনতা ফাগফিরলী মাগফিরাতাম মিন ইন্দিকা ওয়ারহামনী ইন্নাকা আনতাল গাফুরুর্ রহীম।
অর্থ-হে আল্লাহ পাক, আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি কিন্তু আপনি ব্যতীত অন্য কেহ গুনাহ মাফ করতে পারে না। অতএব হে আল্লাহ পাক অনুগ্রহ পূর্বক আমার গুনাহ মাফ করে দিন এবং আমার প্রতি সদয় হোন; নিশ্চই আপনি অতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু ।
অতঃপর প্রথমে ডান দিকে পরে বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতে হবে।
মুনাজাত:
মুনাজাত নামাজের অংশ নয়। এমনটি অনেকেই বলে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে কথাটা সত্যি। তবে পবিত্র কুরআন শরীফ হাদীস শরীফে কোথাও এমনটি কেউ দেখাতে পারবেনা যেখানে বলা হয়েছে যে নামাজের পর মুনাজাত করা যাবে না। বরং হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ফরজ নামাজের পরে দু’আ কবুল হযে থাকে।” আরও ইরশাদ হয়েছে, “মুনাজাত ইবাদতের মূল বা সারাংশ।” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্রাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি দুই হাত মুবারক উত্তোলন করে মুনাজাত করেছেন। সুতরাং মুনাজাত করাটা অদব ও খাস সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। বরং না করাটা জিহালতী, বিয়াদবী ও অহংকারীত্ব প্রকাশ করা যা কোন মুমিন মুসলমানের কাজ হতে পারে না। তাছাড়া মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাইলে উনি খুশী হন, আর না চাইলে উনি গোস্সা করেন। মহান আল্লাহ পাক না করূন, উনার রোশানলে পড়লে কারও কোন প্রকার ইবাদত মোটেই কবুলযোগ্য হবে না। আর তাই ইবাদত বন্দেগীতে সর্বচ্চো বিণয়ী হওয়া অত্যাবশ্যক। মাহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সর্বচ্চো বিণয়ী হয়ে উনার ইবাদত বন্দেগীতে মনোনিবেশ করার তাওাফক দান করুন। (আমীন)
সুরা ফাতিহা
অর্থ-হে আল্লাহ পাক, আমি আমার নিজের উপর অনেক জুলুম করেছি কিন্তু আপনি ব্যতীত অন্য কেহ গুনাহ মাফ করতে পারে না। অতএব হে আল্লাহ পাক অনুগ্রহ পূর্বক আমার গুনাহ মাফ করে দিন এবং আমার প্রতি সদয় হোন; নিশ্চই আপনি অতি ক্ষমাশীল ও দয়ালু ।
অতঃপর প্রথমে ডান দিকে পরে বাম দিকে সালাম ফিরিয়ে নামায শেষ করতে হবে।
মুনাজাত:
মুনাজাত নামাজের অংশ নয়। এমনটি অনেকেই বলে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে কথাটা সত্যি। তবে পবিত্র কুরআন শরীফ হাদীস শরীফে কোথাও এমনটি কেউ দেখাতে পারবেনা যেখানে বলা হয়েছে যে নামাজের পর মুনাজাত করা যাবে না। বরং হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ফরজ নামাজের পরে দু’আ কবুল হযে থাকে।” আরও ইরশাদ হয়েছে, “মুনাজাত ইবাদতের মূল বা সারাংশ।” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্রাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনি দুই হাত মুবারক উত্তোলন করে মুনাজাত করেছেন। সুতরাং মুনাজাত করাটা অদব ও খাস সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। বরং না করাটা জিহালতী, বিয়াদবী ও অহংকারীত্ব প্রকাশ করা যা কোন মুমিন মুসলমানের কাজ হতে পারে না। তাছাড়া মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাইলে উনি খুশী হন, আর না চাইলে উনি গোস্সা করেন। মহান আল্লাহ পাক না করূন, উনার রোশানলে পড়লে কারও কোন প্রকার ইবাদত মোটেই কবুলযোগ্য হবে না। আর তাই ইবাদত বন্দেগীতে সর্বচ্চো বিণয়ী হওয়া অত্যাবশ্যক। মাহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সর্বচ্চো বিণয়ী হয়ে উনার ইবাদত বন্দেগীতে মনোনিবেশ করার তাওাফক দান করুন। (আমীন)
সুরা ফাতিহা
بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيم
الْحَمْدُ للّهِ رَبِّ الْعَالَمِين
الرَّحمـنِ الرَّحِيم
مَـالِكِ يَوْمِ الدِّين
إِيَّاك نَعْبُدُ وإِيَّاكَ نَسْتَعِين
اهدِنَــــا الصِّرَاطَ المُستَقِيمَ
صِرَاطَ الَّذِينَ أَنعَمتَ عَلَيهِمْ غَيرِ المَغضُوبِ عَلَيهِمْ وَلاَ الضَّالِّين
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াওমিদ্দিন। ই্য়াকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন। ইহ দিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল লাযিনা আনআমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দুয়ালিন।
আল-হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। আর রাহমানির রাহিম। মালিকি ইয়াওমিদ্দিন। ই্য়াকানাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন। ইহ দিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। সিরাতাল লাযিনা আনআমতা আলাইহিম। গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ দুয়ালিন।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
mg¯Í cÖmsmv gnvb Avjøvn&& cvK Dbvi whwb m„wóRM‡Zi cÖwZcvjZ
whwb cig `qvjy cig Kiæbvgq
whwb wePvi w`i‡mi gvwjK
Avgiv AvcbviB Bev`Z Kwi Ges Avcbvi wbKUB mvnvh¨ cÖv_©bv Kwi
Avgv‡`i‡K mij c_ cÖ`k©b Kiæb, †mB mg&¯Í †jvK‡`i c_ hv‡`i‡K Avcwb wbqvgZ `vb K‡i‡Qb
(A_©vr bex wmwÏK knx` I m‡jn hv‡`i‡K wbqvgZ `vb Kiv n‡q‡Q|)
Zv‡`I c‡L bq, hviv Awfkß MRecÖvß Ges c_fªó| (A_©vr Bû`x, bvmviv, wn›`y, gyRmx, gykwiK)
নামাজে বহুল পঠিত পবিত্র কুরআন শরীফ উনার শেষ দশটি ছোট সুরা দেওয়া হল।সুরা ফাতিহা শরীফ পাঠ করার পর ধারাবাহিকতা রক্ষা করে এই সুরা গুলি পাঠ করার নিয়ম।
সূরা ফীল
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আলাম তারা কাইফা ফা’আলা রাব্বুকা বিআছহা বিল ফীল
আলাম ইয়াজ আল
কাইদাহুম ফী তাদলীলিওঁ ওয়া আরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবাবীল ,তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীলিন।
ফাজা আলাহুম কাআছ ফিম মা’কূল।
আলাম তারা কাইফা ফা’আলা রাব্বুকা বিআছহা বিল ফীল
আলাম ইয়াজ আল
কাইদাহুম ফী তাদলীলিওঁ ওয়া আরসালা আলাইহিম ত্বাইরান আবাবীল ,তারমীহিম বিহিজারাতিম মিন সিজ্জীলিন।
ফাজা আলাহুম কাআছ ফিম মা’কূল।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাত্ করে দেননি?
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন?তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাত্ করে দেননি?
তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী,যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল।
অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন।
সূরা কুরাইশ
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
লি-ঈলাফি কুরাইশিন। ঈলাফিহিম রিহলাতাশ শিতায়ি ওয়াস সাইফ। ফাল ইয়াবুদু রাব্বা হাযাল বাইত। আল্লাযি আত আমাহুম মিন জুয়েঁউ ওয়া আমানাহুম মিন খাউফ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
কোরাইশের আসক্তির কারণে, আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের। অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
লি-ঈলাফি কুরাইশিন। ঈলাফিহিম রিহলাতাশ শিতায়ি ওয়াস সাইফ। ফাল ইয়াবুদু রাব্বা হাযাল বাইত। আল্লাযি আত আমাহুম মিন জুয়েঁউ ওয়া আমানাহুম মিন খাউফ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
কোরাইশের আসক্তির কারণে, আসক্তির কারণে তাদের শীত ও গ্রীষ্মকালীন সফরের। অতএব তারা যেন এবাদত করে এই ঘরের পালনকর্তার যিনি তাদেরকে ক্ষুধায় আহার দিয়েছেন এবং যুদ্ধভীতি থেকে তাদেরকে নিরাপদ করেছেন।
সূরা মা’উন
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
আর-আইতাল্লাজী ইউকাজ্জিবু বিদ্দিন
ফাযা লাকাল্লাজী ইয়াদুউল ইয়াতীম
ওলা ইয়া হুদ্দো আলা ত্বয়ামীল মিছকীন
ফা্ওয়াই লুল লীল মুছাল্লিনাল লাজী নাহুম
আং ছলাতিহিম ছাহুন
আল্লাজীনাহুম ইউরয়্যুনা ওয়া ইয়াম নায়্যুনাল মা’উন।
আং ছলাতিহিম ছাহুন
আল্লাজীনাহুম ইউরয়্যুনা ওয়া ইয়াম নায়্যুনাল মা’উন।
আপনি কি দেখেছেন তাকে, যে বিচারদিবসকে মিথ্যা বলে?সে সেই ব্যক্তি, যে এতীমকে গলা ধাক্কা দেয়
এবং মিসকীনকে অন্ন দিতে উৎসাহিত করে না।
অতএব দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর;যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে
এবং নিত্য ব্যবহার্য্য বস্তু অন্যকে দেয় না।
সূরা কাওসার
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ইন্না আতাইনা কাল কাওসার। ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ান হার। ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
ইন্না আতাইনা কাল কাওসার। ফাসাল্লি লিরাব্বিকা ওয়ান হার। ইন্না শানিয়াকা হুয়াল আবতার।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
নিশ্চয় আমি আপনাকে কাওসার দান করেছি। অতএব আপনার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড়ুন এবং কোরবানী করুন। যে আপনার শত্রু, সেই তো লেজকাটা, নির্বংশ।
সুরা কাফিরুন
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
কুল ইয়া আইউহাল কাফিরূন। লা আ'বুদু মাতাবুদুন। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মা আবুদ। ওয়া লা আনা আবিদুনা মা আবাদতুম। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মাআবুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়ালীয়া দ্বীন।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
কুল ইয়া আইউহাল কাফিরূন। লা আ'বুদু মাতাবুদুন। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মা আবুদ। ওয়া লা আনা আবিদুনা মা আবাদতুম। ওয়ালা আনতুম আবিদুনা মাআবুদ। লাকুম দীনুকুম ওয়ালীয়া দ্বীন।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, হে কাফেরকূল, আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর। এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর। তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি। তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
সূরা নাসর
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু। ওয়ারা আইতান নাসা ইয়াদ খুলুনা ফি দিনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু। ইন্নাহুকানা তাওওয়াবা।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ইযা জাআ নাসরুল্লাহি ওয়াল ফাতহু। ওয়ারা আইতান নাসা ইয়াদ খুলুনা ফি দিনিল্লাহি আফওয়াজা। ফাসাব্বিহ বিহামদি রাব্বিকা ওয়াসতাগফিরহু। ইন্নাহুকানা তাওওয়াবা।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন, তখন আপনি আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।
সূরা লাহাব
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
তাব্বাৎ ইয়াদা আবি লাহাবেউ ওয়াতাব্বা মা আগনা আনহু মালুহু ওয়ামা কাছাব। ছাইয়াছলা নারান জাতা লাহাবিউ ওয়ামরা আতুহু হাম্মালাতাল হাতাব। ফী জীদিহা হাবলুম মিম মাছাদ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে এবং তার স্ত্রীও - যে ইন্ধন বহন করে, তার গলদেশে হবে এক খর্জুরের রশি ।
তাব্বাৎ ইয়াদা আবি লাহাবেউ ওয়াতাব্বা মা আগনা আনহু মালুহু ওয়ামা কাছাব। ছাইয়াছলা নারান জাতা লাহাবিউ ওয়ামরা আতুহু হাম্মালাতাল হাতাব। ফী জীদিহা হাবলুম মিম মাছাদ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে এবং তার স্ত্রীও - যে ইন্ধন বহন করে, তার গলদেশে হবে এক খর্জুরের রশি ।
সূরা ইখলাস
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ক্বুলহু আল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
ক্বুলহু আল্লাহু আহাদ। আল্লাহুস সামাদ। লাম ইয়ালিদ ওয়া লাম ইউলাদ। ওয়া লাম ইয়া কুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।
সূরা ফালাক
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মাখালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইযা অক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাসাতি ফিল্ উকাদ। ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ক্বুল আউযু বিরাব্বিল ফালাক। মিন শাররি মাখালাক্ব। ওয়া মিন শাররি গাসিক্বিন ইযা অক্বাব। ওয়া মিন শাররিন নাফ্ফাসাতি ফিল্ উকাদ। ওয়া মিন শাররি হাসিদিন ইযা হাসাদ।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি প্রভাতের পালনকর্তার, তিনি যা সৃষ্টি করেছেন, তার অনিষ্ট থেকে, অন্ধকার রাত্রির অনিষ্ট থেকে, যখন তা সমাগত হয়, গ্রন্থিতে ফুঁৎকার দিয়ে জাদুকারিণীদের অনিষ্ট থেকে এবং হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে।
সূরা নাস
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস। মালিকিন্নাস। ইলাহিন্নাস। মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস। আল্লাযি ইউওয়াস ভিসু ফী সুদুরিন্নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার। মানুষের অধিপতির, মানুষের প্রভুর, তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
ক্বুল আউযু বিরাব্বিন নাস। মালিকিন্নাস। ইলাহিন্নাস। মিন শাররীল ওয়াস ওয়াসিল খান্নাস। আল্লাযি ইউওয়াস ভিসু ফী সুদুরিন্নাস। মিনাল জিন্নাতি ওয়ান নাস।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
বলুন, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি মানুষের পালনকর্তার। মানুষের অধিপতির, মানুষের প্রভুর, তার অনিষ্ট থেকে, যে কুমন্ত্রণা দেয় ও আত্মগোপন করে, যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে, জ্বিনের মধ্য থেকে অথবা মানুষের মধ্য থেকে।
এছাড়া বহুল পঠিত আরো কয়েকাট ছোট সুরা দেওয়া হল।
সূরা আসর
বিস্মিল্লাহির রাহ্মানির রাহীম
ওয়াল আসরি। আন্নাল ইনসানা লাফী খুস্রিন। ইল্লাল্লাযীনা আমানু ওয়া আমিলুস সালিহাতি। ওয়া তাওয়াসাও বিল কাককি। ওয়া তাওয়াসাও বিল সাবর।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
কসম যুগের (সময়ের), নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।
ওয়াল আসরি। আন্নাল ইনসানা লাফী খুস্রিন। ইল্লাল্লাযীনা আমানু ওয়া আমিলুস সালিহাতি। ওয়া তাওয়াসাও বিল কাককি। ওয়া তাওয়াসাও বিল সাবর।
অর্থ-পরম করুণাময় ও অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি
কসম যুগের (সময়ের), নিশ্চয় মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত; কিন্তু তারা নয়, যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে এবং পরস্পরকে তাকীদ করে সত্যের এবং তাকীদ করে সবরের।
No comments:
Post a Comment