জামায়াতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে কতিপয় জরুরী মাসয়ালা
১। ডানে বামে দেখে টাখনু (পায়ের গোড়ালীর কাছাকাছি বাইরের দিকে উচুঁ হাড়) বরাবর ঠিক রেখে কাতার সোজা
করা এবং ফাঁক বন্ধ করা ওয়াজিব।
২। আকামত চলাকালীন সময়ে আক্বামত দাতা ব্যাতীত সকলে বসে থাকা এবং হাইয়া আলাস ছালাহ বললে উঠে
দাঁড়ায়ে কাতার সোজা করা মুস্তাহাব। তবে এক্ষেত্রে ইমাম সাহেবকে দায়িত্ব নিয়ে কাতার সোজা করায়ে অতঃপর
নামাজ শুরু করতে হবে। অন্যথায় ওয়াজিব তরকের গুনাহে সকলেই গুনাহগার হবে।
৩। আক্বামত চলাকালীন সময়ে নামাজে উপস্থিত হয়ে ইমাম সাহেবের সাথে সাথে আল্লহু আকবার বলা ফরজ।
যা তাকবীর ওয়ালা নামে খ্যাত। এছাড়া একা নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও নিয়ত করে আল্লহু আকবার (তাকবীবে তাহরীমা)
উচ্চারণ করতঃ হাত বাঁধা ফরজ। (মনে মনে কিংবা উচ্চ আওয়াজে) অন্যথায় ফরজ তরকের কারণে নামাজ
উচ্চারণ করতঃ হাত বাঁধা ফরজ। (মনে মনে কিংবা উচ্চ আওয়াজে) অন্যথায় ফরজ তরকের কারণে নামাজ
ফাসিদ হয়ে যাবে।
৪। ফজর, মাগরিব ও CÕkvi নামাজ উচ্চ আওয়াজে এবং যোহর, আসর নামাজ মনে মনে আদায় করা সুন্নত।
৫। কোন কারণে যদি কেউ পবে এসে জামায়াতে শরীক হয়ে থাকেন অর্থাৎ জামায়াত শুরু হয়ে থাকে এবং নিয়ত
উচ্চারণ করার সময় না থাকে তাহলে শুধু ্আল্লহু আকবার বলে হাত বেঁধে নামাজে শরীক হওয়া যাবে, তবে হাত বেঁধে সোজা হয়ে দাড়াতে হবে। অতঃপর ইমাম সাহেবের সাথে রুকুতে যাওয়া যাবে। এক্ষেত্রে রকুতে ইমাম সাহেবের সাথে
কমপক্ষে এক তাসবীহ পাঠ করা চাই (তিন তাসবীহ-ই পাঠ করতে হবে) অন্যথায় উক্ত রাকায়াত জামাতের সঙ্গে আদায়
হয়নি বিধায় শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম
ফিরানোর পর তিনি সালাম ফিরাবেন না ববং দাঁড়ায়ে নামাজের ঐ রাকয়াত একা আদায় করে নিবেন। অতঃপর তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ শেষ করতে হবে।
৬। কোন কারণে যদি কেউ পবে এসে জামায়াতে শরীক হয়ে থাকেন অর্থাৎ জামায়াত শুরু হয়ে থাকে এবং এক
রাকায়াত/দুই রাকায়াত/ তিন রাকায়াত অতিবাহিত হয়ে যায় তবে, শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে
থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর তিনি সালাম ফিরাবেন না ববং দাঁড়ায়ে নামাজের ঐ রাকয়াত সমূহ একা আদায় করে নিবেন। অতঃপর তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে
সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ শেষ করতে হবে।
৭। কেউ যদি দুই রাকায়াত নামাজে এক রাকায়াত না পায় সেক্ষে্ত্রে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে
থেকে অপেক্ষা করতে হবে।ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায় করার সময় সুরা
ফাতিহা পাঠ করার পর অন্য কোন সূরা ক্বিরায়াত করতে হবে। অতঃপর রুকু, সিজদাহ করে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ,
দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ শেষ করতে হবে।
৮। দুই রাকায়াত নামাজে শেষ বৈঠকে কেউ শরীক হলে ঐ ব্যাক্তি জামায়াতের ফজিলত লাভ করবে। তবে, শেষ
বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর উঠে
দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায় করার যে হুকুম সেভাবে আদায় করতে হবে।
দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায় করার যে হুকুম সেভাবে আদায় করতে হবে।
৯। জামায়াতে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব ব্যতীত কেউ সুরা ফাহিহা কিংবা অন্য কোন সূরা পাঠ করবেন না।কেননা, আমাদের হানাফী মাযহাব মুতাবিক ক্বিরাতিল ইমাম ক্বিরাতি মুক্তাদী। অর্থাৎ ইমাম সাহেব নিজের ও মুসল্রিগণের
(মুক্তাদীর) পক্ষ খেকে ক্বিরায়াত করে থাকেন।তবে দেরীতে নামাজে শরীক হওয়ায় এক বা একাধিক রাকায়াত না পাওয়ার
কারনে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবেG উক্ত রাকায়াত সমূহ ইমাম
সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা আদায় করার সময় সুরা ফাতিহা ও ক্ষেত্রবিশেষে অন্য সূরা মিলায়ে ক্বিরআত
সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা আদায় করার সময় সুরা ফাতিহা ও ক্ষেত্রবিশেষে অন্য সূরা মিলায়ে ক্বিরআত
করতে হবে। অতঃপর তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ শেষ
করতে হবে।
করতে হবে।
১০। কেউ যদি চার রাকায়াত নামাজে এক রাকায়াত/ দুই রাকায়াত নামাজ না পায় সেক্ষে্ত্রে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ
পাঠ করার পর চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে।ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট
নামজ আদায় করার সময় সুরা ফাতিহা পাঠ করলে্ই চলবে। অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই।কারণ সে তিন
রাকয়াত নামাজ পেয়ে থাকলে দ্বিতীয় ও তৃতীয় রাকয়াত ঐ ব্যাক্তির জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় রাকায়াত যা ইমাম সাহেবের
পিছনে আদায় করা হয়েছে। চতুর্থ রাকায়াতটি তার জন্য তৃতীয় রাকায়াত যা ইমাম সাহেবের পিছনে ইতিমধ্যেই আদায়
হয়ে গেছে। কাজেই না পাওয়া এক রাকায়াত নামাজ ঐ ব্যাক্তির জন্য চতূর্থ রাকায়াত যেখানে কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা
পাঠ করলেই চলবে অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই। কেননা ফরজ নামাজের শেষের দুই রাকায়াতে সূরা মিলানের
্আবশ্যকতা নেই। অতঃপর তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ
শেষ করতে হবে।
১১। অনুরুপভাবে, চার রাকায়াত নামাজে দুই রাকায়াত নামাজ না পায় সেক্ষে্ত্রে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর
চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায়
করার সময় সুরা ফাতিহা পাঠ করলে্ই চলবে। অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই। কারণ সে দুই রাকয়াত নামাজ
পেয়ে থাকলে তৃতীয় ও চতুর্থ রাকয়াত ঐ ব্যাক্তির জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় রাকায়াত যা ইমাম সাহেবের পিছনে আদায় করা
চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায়
করার সময় সুরা ফাতিহা পাঠ করলে্ই চলবে। অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই। কারণ সে দুই রাকয়াত নামাজ
পেয়ে থাকলে তৃতীয় ও চতুর্থ রাকয়াত ঐ ব্যাক্তির জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় রাকায়াত যা ইমাম সাহেবের পিছনে আদায় করা
হয়েছে। কাজেই না পাওয়া দুই রাকায়াত নামাজ ঐ ব্যাক্তির জন্য তৃতীয় ও চতূর্থ রাকায়াত যেখানে কেবলমাত্র সূরা
ফাতিহা পাঠ করলেই চলবে অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই। অতঃপর তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ
করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ শেষ করতে হবে।
ফাতিহা পাঠ করলেই চলবে অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই। অতঃপর তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ
করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ শেষ করতে হবে।
১২। তবে, চার রাকায়াত নামাজে তিন রাকায়াত নামাজ না পায় সেক্ষে্ত্রে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে
বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায় করার সময়
সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর অন্য কোন সূরা ক্বিরাযাত করতঃ এক রাকায়াত নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ সে চতুর্থ
বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায় করার সময়
সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর অন্য কোন সূরা ক্বিরাযাত করতঃ এক রাকায়াত নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ সে চতুর্থ
রাকায়াত (ইমাম সাহেবের পিছনে আদায় করা হয়েছে) যা ঐ ব্যাক্তির জন্য প্রথম রাকায়াত। এবং এটি তার দ্বিতীয়
রাকায়াত। অতঃপর তাশাহুদ পাঠ করে আল্লহু আকবার বলে উঠে দাঁড়াবে এবং না পাওয়া বাকী দুই রাকায়াত নামাজ
ঐ ব্যাক্তির জন্য তৃতীয় ও চতূর্থ রাকায়াত যেখানে কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করলেই চলবে অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই। অতঃপর তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে যথারীতি নামাজ শেষ
করতে হবে।
১৩। চার রাকায়াত নামাজে শেষ বৈঠকে কেউ শরীক হলে ঐ ব্যাক্তি জামায়াতের ফজিলত লাভ করবে। তবে, শেষ
বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর
দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায় করার যে হুকুম সেভাবে আদায় করতে হবে।
১৪। মাগরিবের নামাজে কেউ এক রাকায়াত না পেলে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে থেকে
অপেক্ষা করতে হবে।ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা এক রাকায়াত নামজ আদায় করার সময়
কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করলেই চলবে অন্য সূরা মিলানোর আবশ্যকতা নেই।
১৫। অনুরূপভাবে মাগরিবের নামাজে কেউ দুই রাকায়াত না পেলে শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে
থেকে অপেক্ষা করতে হবে।ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর দাঁড়ায়ে একা এক রাকায়াত নামজ আদায় করার সময়
সুরা ফাতিহা পাঠ করার পর অন্য কোন সূরা ক্বিরাযাত করতঃ এক রাকায়াত নামাজ আদায় করতে হবে। কারণ এটি তার
দ্বিতীয় রাকায়াত, অতঃপর তাশাহুদ পাঠ করে আল্লহু আকবার বলে উঠে দাঁড়াবে এবং না পাওয়া অবশিষ্ট রাকায়াত
নামাজ ঐ ব্যাক্তির জন্য শেষ রাকায়াত যেখানে কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করলেই চলবে অন্য সূরা মিলানোর
আবশ্যকতা নেই, অতঃপর শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে
যথারীতি নামাজ শেষ করতে হবে।
দ্বিতীয় রাকায়াত, অতঃপর তাশাহুদ পাঠ করে আল্লহু আকবার বলে উঠে দাঁড়াবে এবং না পাওয়া অবশিষ্ট রাকায়াত
নামাজ ঐ ব্যাক্তির জন্য শেষ রাকায়াত যেখানে কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা পাঠ করলেই চলবে অন্য সূরা মিলানোর
আবশ্যকতা নেই, অতঃপর শেষ বৈঠকে তাশাহুদ, দরূদ শরীফ দু্আ মাসুরা পাঠ করতঃ ডানে বামে সালাম ফিরিয়ে
যথারীতি নামাজ শেষ করতে হবে।
১৬। মাগরিবের নামাজে শেষ বৈঠকে কেউ শরীক হলে ঐ ব্যাক্তি জামায়াতের ফজিলত লাভ করবে। তবে, শেষ
বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করার পর চুপ করে বসে থেকে অপেক্ষা করতে হবে। ইমাম সাহেব সালাম ফিরানোর পর
দাঁড়ায়ে একা অবশিষ্ট নামজ আদায় করার যে হুকুম সেভাবে আদায় করতে হবে।
১৭। নামাজ ধীর স্থির ভাবে হুজুরীর সাথে আদায় করতে হবে। কোন প্রকার তাড়াহুড়া করা কিংবা দায় সারা ভাব
নিয়ে নামাজ আদায় করলে তা কখনও গ্রহণযোগ্য হবে না। মহান আল্লাহ পাক কালামুল্লাহ শরীফে সূরা মাউন এ
ইরশাদ মুবারক করেন, “ফাওয়াই লুল লিল মুসাল্লিন“ অর্থঃ মুসল্লিদেরকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে।
এখানে প্রশ্ন আসতে পাবে যারা নামাজ পড়েন তারাইতো মুসল্লি, তাহলে তাদেরকে কেন জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে ? জবাব হচ্ছে, তারা আল্লাহ পাক উনার সন্তষ্টির জন্য নামাজ আদায় করেনি। পক্ষান্তরে তারা দায়সারা বা লোক
দেখানো নামাজ আদায় করেছে। কাজেই একা হউক কিংবা জামায়াতে হউক সর্ব প্রকার খেয়াল বাদ দিয়ে কমপক্ষে
মাহান আল্লাহ পাক উনার সামনে দণ্ডায়মান আছি একথা স্মরণ রেখেই নামাজে দাড়াতে হবে এর্ং উনার সন্তষ্টির লক্ষেই
নামাজ আদায় করতে হবে।
দেখানো নামাজ আদায় করেছে। কাজেই একা হউক কিংবা জামায়াতে হউক সর্ব প্রকার খেয়াল বাদ দিয়ে কমপক্ষে
মাহান আল্লাহ পাক উনার সামনে দণ্ডায়মান আছি একথা স্মরণ রেখেই নামাজে দাড়াতে হবে এর্ং উনার সন্তষ্টির লক্ষেই
নামাজ আদায় করতে হবে।
১৮। নামাজের প্রত্যেকটি ধাপ যেমান: রুকু, রুকুতে সময় নিয়ে তাসবীহ পাঠ করা,অতঃপর ছামিআল্লাহু লিমান হামিদাহ।
বলে সোজা হয়ে দাড়ান এবং কমপক্ষে এক তাসবীহ পরিমান সময় দাড়িয়ে খেকে অতঃপর আল্লহু আকবার বলে
সিজদাহ করা। সিজদাহে সময় নিয়ে তাসবীহ পাঠ করা। অনুরূপ ভাবে সিজদাহ থেকে উঠে জলছায় স্থির হয়ে সময়
নিয়ে বসা এবং দ্বিতীয় সিজদাহ করা। পররর্তী রাকায়াতে প্রথমে সোজা হয়ে দাড়াতে অতঃপর সূরা ফাতিহা, অন্য সূরা
ক্বিরআত করতে হবে।
(এক তাসবীহ পরিমান সময় বলতে বুঝায় এক তাসবীহ পাঠ করতে যে সময় লাগে ঐ সময়।) নামাজে যদি কারও এক
স্থানে এমনটি তরক হয়ে য়ায় তাহলে ওয়াজিব তরকের কারনে সিজদায়ে সাহু আদায় করত নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।কিন্ত দুই বা ততোধিক বার ওয়াজিব তরক করলে নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে নামাজ পূণঃরায় আদায় করতে
হবে।
স্থানে এমনটি তরক হয়ে য়ায় তাহলে ওয়াজিব তরকের কারনে সিজদায়ে সাহু আদায় করত নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।কিন্ত দুই বা ততোধিক বার ওয়াজিব তরক করলে নামাজ ফাসিদ হয়ে যাবে, সেক্ষেত্রে নামাজ পূণঃরায় আদায় করতে
হবে।
১৯। নামাজের কোন একটি ওয়াজিব অনিচ্ছাকৃত ছেড়ে গেলে, তিন রাকায়াত বা চার রাকায়াত বিশিষ্ট নামাজে
দ্বিতীয় রাকায়াত শেষে জলছায় বসে তাশাহুদ পাঠ করার পর ভুল বশত দরূদ শরীফপাঠ করে ফেললে, ভূল বশত
দ্বিতীয় রাকায়াত শেষ করে জলছায় না বসে দাড়িয়ে গেলে অল্প দাড়ালে বসে পড়ে তাশাহুদ পাঠ করতে হবে।
কিন্ত সোজা হয়ে দাড়িয়ে গেলে কিংবা সূরা ক্বিরআত আরম্ভ করে থাকলে তা চালিয়ে যেতে হবে। সিজদাহে সাহু
দিতে হবে।
ঐ সকল ক্ষেত্রেই শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পাঠ করে ডান দিকে আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ বলে এক সালাম ফিরায়ে আল্লহু আকবার বলে সিজদাহে যেতে হবে এবং যথারীতি পর পর দুই সিজদাহ করে পূণঃরায় তাশাহুদ, দুরূদ শরীফ, দুআ মাসুরা পাঠ করে সালাম ফিরায়ে নামাজ শেষ করতে হবে। এভাবে সিজদায়ে সাহু আদায় করত নামাজ শুদ্ধ হয়ে যাবে।
২০। মহিলাদের বসার তরতীবে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য পরহিজগার আলিমা মহিলাদের থেকে
সরসরি জেনে নেওয়াটাই উত্তম।
২১। অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য সন্মানিত শরীয়তে বিশেষ ছাড় রয়েছে। অসুস্থ ব্যাক্তি বসে বসে কিংবা তাও সম্ভব না হলে শুয়ে
শুয়ে নামাজ আদায় করতে পারবেন, অতিরিক্ত অসুস্থ ব্যাক্তি যার পক্ষে কোন অবস্থায় নামাজ আদায় করা সম্ভব হচ্ছে না, তিনি সুস্থতা লাভ করার পর উক্ত নামাজ সমূহের ক্বাজা আদায় করলেই চলবে। কোন কাফ্ফারা আদায় করতে হবে
না।
২২। অসুস্থ ব্যাক্তির জন্য মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করা কিংবা দাড়িয়ে নামাজ আদায় করা বাধ্যবাধ্যতা
থাকে না। তথাপি কেউ যদি মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করতে পারেন তা নিঃসন্দেহে ভাল। অসুস্থ ব্যাক্তি মসজিদে
গিয়ে দাড়িয়ে নামাজ না পড়তে পারলে বসে বসে জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।তবে মসজিদে চেযারে
বসে নামাজ আদায় করা কোন অবস্থায় শরীয়তসম্মত হবেনা।কেননা মসজিদে চেয়ারে বসাটাই চরম বেয়াদবী। আর বেয়াদব সমস্ত কিছু থেকেই মাহরূম।কাজেই, আল্লাহ পাক না করূন কারও যদি শারীরিক অবস্থা চরম খারাপ হয়,
তাহলে সে মসজিদে না গিয়ে, বাসায় বসে বসে কিংবা শুয়ে শুয়ে ইশারায় নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে বসে নামাজ আদায় করতে চাইলে, অবশ্যই নামাজের সুরতে বসে নামাজ আদায় করতে হবে। কোন অবস্থায় পা ঝুলিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে না।
গিয়ে দাড়িয়ে নামাজ না পড়তে পারলে বসে বসে জামায়াতে নামাজ আদায় করতে পারবেন।তবে মসজিদে চেযারে
বসে নামাজ আদায় করা কোন অবস্থায় শরীয়তসম্মত হবেনা।কেননা মসজিদে চেয়ারে বসাটাই চরম বেয়াদবী। আর বেয়াদব সমস্ত কিছু থেকেই মাহরূম।কাজেই, আল্লাহ পাক না করূন কারও যদি শারীরিক অবস্থা চরম খারাপ হয়,
তাহলে সে মসজিদে না গিয়ে, বাসায় বসে বসে কিংবা শুয়ে শুয়ে ইশারায় নামাজ আদায় করতে পারবেন। তবে বসে নামাজ আদায় করতে চাইলে, অবশ্যই নামাজের সুরতে বসে নামাজ আদায় করতে হবে। কোন অবস্থায় পা ঝুলিয়ে নামাজ আদায় করা যাবে না।
মুনাজাত:
মুনাজাত নামাজের অংশ নয়। এমনটি অনেকেই বলে থাকেন। প্রকৃতপক্ষে কথাটা সত্যি। তবে পবিত্র কুরআন শরীফ,
হাদীস শরীফে কোথাও এমনটি কেউ দেখাতে পারবেনা যেখানে বলা হয়েছে যে নামাজের পর মুনাজাত করা যাবে না।
হাদীস শরীফে কোথাও এমনটি কেউ দেখাতে পারবেনা যেখানে বলা হয়েছে যে নামাজের পর মুনাজাত করা যাবে না।
বরং হাদীস শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “ফরজ নামাজের পরে দু’আ কবুল হযে থাকে।
আরও ইরশাদ হয়েছে, “মুনাজাত ইবাদতের মূল বা সারাংশ।” নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুজুর পাক ছল্লাল্রাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম উনি দুই হাত মুবারক উত্তোলন করে মুনাজাত করেছেন।
সুতরাং মুনাজাত করাটা অদব ও খাস সুন্নতের অন্তর্ভূক্ত। বরং না করাটা জিহালতী, বিয়াদবী ও অহংকারীত্ব প্রকাশ
করা যা কোন মুমিন মুসলমানের কাজ হতে পারে না। তাছাড়া মহান আল্লাহ পাক উনার কাছে চাইলে উনি খুশী হন,
আর না চাইলে উনি গোস্সা করেন। মহান আল্লাহ পাক না করূন, উনার রোশানলে পড়লে ঐ
ব্যক্তির কোন প্রকার
ইবাদত বন্দেগী মোটেই কবুলযোগ্য হবে না। আর তাই ইবাদত বন্দেগীতে সর্বচ্চো বিণয়ী হওয়া অত্যাবশ্যক।
মাহান আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে সর্বচ্চো বিণয়ী হয়ে উনার ইবাদত বন্দেগীতে মনোনিবেশ করার তাওাফক দান
করুন। (আমীন)
No comments:
Post a Comment